মুর্শিদাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াকফ আইন ঘিরে বিক্ষোভের জন্য বিরোধীদের একাংশকেই দায়ী করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিংসার ঘটনার
পিছনে কংগ্রেস, এসপি বা তৃণমূলের মতো দলগুলির ভূমিকা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘‘বিরোধীদের ভুল বোঝানোর কারণেই এ ভাবে হিংসাত্মক পথে নেমেছেন এক শ্রেণির মানুষ। অতীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সময়েও এ ভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হিংসার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন স্বার্থান্বেষী বিরোধীরা।’’
মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বিহারের নানা এলাকায় ওয়াকফ আন্দোলন হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে। আজ লখনউয়ে বাবা সাহেব অম্বেডকরকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ওয়াকফ আইন নিয়ে আন্দোলন ও তাতে হিংসার প্রসঙ্গ টেনে আনেন যোগী। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে অবৈধ ভাবে ওয়াকফের সম্পত্তি কুক্ষিগত করে রেখেছে কিছু মুষ্টিমেয় ব্যক্তি। এদের কাছে ওয়াকফ সম্পত্তির কোনও কাগজ নেই বা ভূমিরাজস্ব দফতরেও সেই সম্পত্তির কোনও রেকর্ড নেই। এখন সেই সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার ভয় থেকেই সাধারণ মুসলিম জনতাকে ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামাচ্ছেন বিরোধীরা।’’
যোগীর বক্তব্য, ‘‘মুর্শিদাবাদে তিন জনকে হত্যা করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে ওই ব্যক্তিরা গরিব ও দলিত শ্রেণির। যাঁরা ওই ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারের হাতে এলে সবথেকে বেশি ফায়দা পেতেন।’’ যোগীর দাবি, সম্পত্তি সরকারের হাতে এলে সেখানে গরিবদের জন্য আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল হবে। আর তাতেই ভয় পাচ্ছেন বিরোধীরা। কারণ, তাঁরা ভাবছেন এক বার উন্নয়নের স্বাদ পেলে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ককে ভুল পথে চালনা করা বন্ধ হয়ে যাবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)