প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। -ফাইল ছবি।
রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী (বঢরা)-র পদার্পণে খুব খুশি এনডিএতে বিজেপির বহু দিনের শরিক শিবসেনা। তাদের বক্তব্য, প্রিয়ঙ্কার এই পদার্পণের অর্থ একটাই। অচ্ছে দিন এসে গেল কংগ্রেসের।
বিজেপির তিন দশকের পুরনো ‘বন্ধু দল’ শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘গত দু’মাস ধরেই বুঝতে পারছি, অচ্ছে দিন আসছে কংগ্রেসের। বিজেপির ঘাঁটি তিনটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতল কংগ্রেস। তখন থেকেই আমার মনে হচ্ছিল, প্রিয়ঙ্কাজি আসছেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে।’’
বেশ কিছু দিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে শিবসেনার। ২০১৪-য় মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে আলাদা আলাদা ভাবে লড়েছিল বিজেপি ও শিবসেনা। তাতে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পরে জোট বাঁধতে বাধ্য হয়েছিল। সরকার গড়ার জন্য। কিছু দিন আগে মুম্বইয়ের পুর নির্বাচনেও দু’টি দল প্রার্থী দিয়েছিল আলাদা আলাদা ভাবে। তবে সেখানেও পুরসভা হাতে রাখতে পরে জোট বেঁধেছিল দুই দল। তার পর মহারাষ্ট্রের পুরভোটেও দু’টি দল লড়েছিল আলাদা ভাবে।
আরও পড়ুন- মোদীকে কুপোকাত করতে রাহুলের ব্রহ্মাস্ত্র, মোদী-যোগীর গড়ে অভিষেক প্রিয়ঙ্কার
আরও পড়ুন- রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা, কপালে ভাঁজ বিজেপির
প্রিয়ঙ্কার রাজনীতিতে পদার্পণের খবরের প্রেক্ষিতে তাই বিজেপিকে বেঁধার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইছে না শিবসেনা। তার জন্য পুরনো শত্রু কংগ্রেসকে ‘ভাল নম্বর’ দিতেও কার্পণ্য নেই এনডিএর অন্যতম শরিকের।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এ দিন বলেছেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কাকে রাজনীতিতে আনার ব্যাপারে বিচক্ষণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। আমাদের দেশের মানুষ বরাবরই গাঁধী পরিবারের সঙ্গে থেকেছেন। ইন্দিরা গাঁধীর উত্তরাধিকার সব সময়ই থাকবে এ দেশে। ... কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তে (প্রিয়ঙ্কার রাজনীতিতে পদার্পণ) উপকৃত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy