Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লি আইআইটি হস্টেলে বাঙালি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ

হুগলির ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা নাডুগোপাল। তাঁরা তিন ভাই। নাড়ুগোপাল ছোট। বাবা শ্যামলবাবু আগে স্থানীয় কালীতলা বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন।

নাড়ুগোপাল মালো

নাড়ুগোপাল মালো

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১৪
Share: Save:

আইআইটি দিল্লির ছাত্রাবাসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক বাঙালি ছাত্রের। তাঁর নাম নাড়ুগোপাল মালো (২১)।

হুগলির ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা নাডুগোপাল। তাঁরা তিন ভাই। নাড়ুগোপাল ছোট। বাবা শ্যামলবাবু আগে স্থানীয় কালীতলা বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন। এখন আর পারেন না। তাঁর বড় ছেলে গোবিন্দই ওই ব্যবসা সামলান। শ্যামলবাবুর মেজো ছেলে বেচুরাম সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি দিল্লিতেই থাকেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত শ্যামলবাবু বা তাঁর স্ত্রী উর্মিলাদেবীকে ছোট ছেলের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি। বিকেলে বেচুই ফোন করে দাদাকে নাড়ুগোপালের মৃত্যুসংবাদ জানান। তফসিলি জাতির মেধাবী ছেলেটির অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পড়শিরা। নাড়ুগোপালের হস্টেলের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

গোবিন্দ জানান, স্থানীয় বাগাটি রামগোপাল স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাড়ুগোপাল। সেখান থেকে রসায়নে স্নাতক হন। বৃত্তি পেয়ে বছর দেড়েক আগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন দিল্লি আইআইটি-তে। এখন তাঁর সেমেস্টার চলছিল। দু’টি পরীক্ষা বাকি ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। গোবিন্দ বলেন, ‘‘ভাইয়ের সাইনাসের সমস্যা ছিল। ডাক্তার দেখাচ্ছিল। পরীক্ষা শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয়েও ছিল। বলেছিল, পরীক্ষার পরে বাড়ি ফিরবে। আর ফিরল না। মেজো ভাই-ই ওখানে ভাইয়ের ময়না-তদন্ত সংক্রান্ত সব কিছু সামলাচ্ছে।’’

শুক্রবার রাতে দিল্লিতে বেচুরামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বিশেষ কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। ভাই কী কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন, সে ব্যাপারে তিনি অন্ধকারে। বেচুরাম বলেন, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না। এখানে একা সব সামলাতে হচ্ছে। ময়না-তদন্তের পরে শনিবার আমিই বিমানে দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Narugopal Malo Delhi IIT Student Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE