কুমীর নয়। চলছে কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ। গুয়াহাটির কাছে মান্দাকাটা শিবিরে। ছবি অসম পুলিশের সৌজন্যে।
জঙ্গি রুখতে কম্যান্ডোদের মতো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে অসম পুলিশ।
জংলা, কালো পোশাকে জওয়ানদের হাতে থাকছে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। কখনও গাছের মগডালে, কখনও দড়িতে, কখনও গলা পর্যন্ত জলে ডুবে সন্ত্রাস মোকাবিলার পাঠ নিচ্ছেন তাঁরা। সেনা ও সিআরপি কোবরা জওয়ানদের দেওয়া হয় ঠিক এমনই প্রশিক্ষণ। অসম পুলিশের কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়নের জন্য বাছাই করা ১৯৪ জন জওয়ানও এখন শিখছেন সেই পাঠ-ই।
গুয়াহাটি থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে মান্দাকাটা। সেখানে রয়েছে অসম পুলিশের কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রাজ্যে জঙ্গিদমনে বিশেষ অভিযানের জন্য পুলিশের কয়েক জন জওয়ানকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হাজির সেনা, আধাসেনার প্রশিক্ষকরা।
৯৬৬ বিঘার ওই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের বেশিরভাগেই জঙ্গল, পাহাড়। অসম পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায় বলেন, ‘‘জঙ্গিরা সাধারণত লুকিয়ে থাকে পাহাড়-জঙ্গলেই। জঙ্গিঘাঁটিতে পৌঁছনোর জন্য তা-ই প্রশিক্ষণের জন্য এমনই ভূপ্রকৃতি বেছে নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি দমনে দক্ষ ওই বাহিনীকে বিশেষ প্রয়োজনে কাজে নামানো হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার লাগোয়া মিজোরামের ভাইরাংতে ‘কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অ্যান্ড জঙ্গল ওয়ারফেয়ার স্কুল’ তৈরির কাজ চলছে।
বাহিনীর কম্যান্ডান্ট বেদান্তমাধব রাজখোয়া জানান, মান্দাকাটা কেন্দ্রে ১৯৪ জনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে গত বছর ডিসেম্বরে। প্রশিক্ষণ এ নিয়ে তৃতীয় সপ্তাহে পড়ল। প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ চলবে আরও ৫ সপ্তাহ। মুখোমুখি যুদ্ধের সঙ্গে পণবন্দিদের উদ্ধার, চলন্ত গাড়িতে আক্রমণ, জঙ্গিদের উপরে গেরিলা হানার খুঁটিনাটি আধাসেনার কম্যান্ডোরা পুলিশের জওয়ানদের শেখাচ্ছেন। প্রশিক্ষক এসেছেন মাসিমপুরের সিআরপি শিবির থেকে। রাজখোয়া জানান, প্রশিক্ষণের পর বছরভর বিভিন্ন পর্যায়ে কম্যান্ডোদের কড়া অনুশীলন চলতে থাকবে। তাঁরা আধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার বিভিন্ন উপায় শিখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy