Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বিষমদে বিহারে মৃত ৪, সাসপেন্ড পুরো থানাই

২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল থেকে বিহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। গত বছর অগস্ট মাসেই গোপালগঞ্জ জেলায় বিষ-মদ খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। বিষমদে মৃত্যুর এই ঘটনা সরকার স্বীকার করে। দ্বিতীয় বার সরকারি ভাবে রোহতাসের এই ঘটনাকে স্বীকার করলেন রাজ্য পুলিশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৩
Share: Save:

নীতীশ কুমারের ‘শুখা’ বিহারে ফের বিষমদ খেয়ে মারা গেলেন চার জন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার। বিহারের রোহতাস জেলার কসবা থানা এলাকার দনবার গ্রামের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে ডেকে পাঠিয়ে বিশদ রিপোর্ট চেয়েছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের আঙুল পুলিশের দিকে। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশেই এলাকায় মদের কারবারীদের রমরমা। কসবা থানার ওসি-সহ ১২ জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডিজিপি প্রমোদকুমার ঠাকুর বলেন, ‘‘অপরাধীরা কোনও ভাবেই ছাড়া পাবে না।’’

আরও পড়ুন: বৃন্দাবনে নিষিদ্ধ হতে চলছে মদ, ডিম, মাংস

২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল থেকে বিহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। গত বছর অগস্ট মাসেই গোপালগঞ্জ জেলায় বিষ-মদ খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। বিষমদে মৃত্যুর এই ঘটনা সরকার স্বীকার করে। দ্বিতীয় বার সরকারি ভাবে রোহতাসের এই ঘটনাকে স্বীকার করলেন রাজ্য পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম হরিহর সিংহ, ধনজি সিংহ, উদয় সিংহ, কমলেশ কুমার।

সরকারি ভাবে স্বীকার করা না হলেও গয়া, সারণ, পটনা, পশ্চিম চম্পারণ, খগরিয়া, নওয়াদা, নালন্দা জেলায় মদ খেয়ে মৃত্যুর বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে। প্রতি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘটনার কথা স্বীকারই করেনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE