রাজধানীতে উবের-ট্যাক্সিতে সাম্প্রতিক ধর্ষণকাণ্ডের পরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। জমে থাকা ধর্ষণের মামলা দ্রুত শেষ করতে আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি প্রয়োজন। তাই সেই মর্মে দেশের ২৪টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি যে হেতু রাজ্য সরকারের দায়িত্ব, কেন্দ্র চায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এই কাজে আর্থিক সাহায্য করুন হাইকোর্টগুলিকে।
হাইকোর্টগুলির প্রতি কেন্দ্রের অনুরোধ: জেলা বা নিম্ন আদালতে যে সব ধর্ষণের মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে, সেগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত শেষ করা হোক। ওই মামলাগুলির প্রক্রিয়ায় হাইকোর্ট নজরদারি করুক, চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশে এখন ৯৬৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। সেই সংখ্যা বাড়ালে ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লিতে এ মাসের গোড়াতেই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক উবের ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। তরুণীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার পরিবর্তে অভিযুক্ত চালক শিবকুমার যাদব ওই তরুণীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ট্যাক্সিতেই ধর্ষণ করে। যে আচরণে উদ্বিগ্ন প্রশাসন এ বার ট্যাক্সিচালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছে। দিল্লির পরিবহণ দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ট্যাক্সিচালকদের নিয়ে লিঙ্গ সচেতনতামূলক বিশেষ ক্লাস বাধ্যতামূলক করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। যার পরে চালকদের একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে চালকরা যে ওই ক্লাস করেছেন, তার প্রমাণস্বরূপ শংসাপত্র দেখাতে হবে। সেটি দেখালে চালকদের সুস্থতার শংসাপত্র মিলবে, যাতে তাঁরা গাড়ি চালাতে পারেন। ওই অফিসার জানান, সব ধরনের ট্যাক্সিচালককেই দু’ঘণ্টাব্যাপী ওই ক্লাস করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy