পিছনের দিকে এগিয়ে চলুন ছবি: সংগৃহীত
বাসে উঠলেই ‘পিছনের দিকে এগিয়ে চলুন’ শোনা খুব একটা বিরল নয়। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন আক্ষরিক অর্থেই যদি পিছনের দিকে হাঁটার চেষ্টা করা হয়, তবে তা হতে পারে শরীরচর্চার সামিল? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, শুনতে কাণ্ডজ্ঞানহীন মনে হলেও পিছনের দিকে হাঁটা শরীরের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপরীত দিকে হাঁটা আসলে মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। এটি বিপাককেও উৎসাহিত করে। পিছনের দিকে হাঁটলে সামনের দিকে হাঁটার চেয়ে বেশি ক্যালোরি দহনে সক্ষম হয় দেহ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ১০০ পা পিছনের দিকে হাঁটা এক হাজার পা সামনের দিকে হাঁটার সমান। পিছনের দিকে হাঁটলে হৃদস্পন্দনের হার তুলনামূলক ভাবে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন পেশি ও অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় মস্তিষ্কেও। মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায় এতে। এ ভাবে পিছনের দিকে হাঁটলে নিতম্ব, উরুর পেশি, গ্লুট, কোয়াড্রিসেপ পেশি অনেক বেশি কাজ করে। তা ছাড়া পিছনের দিকে হাঁটতে হলে মস্তিষ্ককে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিক বিষয় সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। ফলে উন্নতি হয় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের। আবার অল্প সময়ে অধিক ক্যালোরির দহনের ফলে সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও দারুণ উপযোগী এটি।
তবে পিছনের দিকে হাঁটতে গেলে ভূপতিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পতন বা সংঘর্ষ এড়াতে, সর্বদা বাধামুক্ত খোলা জায়গায় হাঁটুন। এটি শুধু হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিই করে না ভারসাম্য এবং দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। কাজেই পরের বার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চেষ্টা করে দেখতেই পারেন পিছনের দিকে হাঁটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy