পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি-র তুলনায় ঋণের হার ৩১ মার্চে, অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষের শেষে ৩৮ শতাংশে ঠেকবে বলে অনুমান। সে ক্ষেত্রে ঋণের বোঝার মাপকাঠিতে গোটা দেশে রাজ্য থাকবে ষষ্ঠ স্থানে। প্রথম পাঁচটির মধ্যে তিনটিই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট রাজ্য— অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়। তুলনায় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে ঋণের বোঝার নিরিখে পঞ্জাব, হিমাচলের পরেই পশ্চিমবঙ্গ। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তথ্য আজ সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
মন্ত্রকের বক্তব্য, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী এই অর্থবর্ষের শেষে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মোট দেনার পরিমাণ ২৬৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি ছাপিয়ে যাবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জিডিপি-র তুলনায় ঋণের হার ২০২৩-২৪ সালের শেষে ৫৮.১% ছুঁয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জিডিপি-র তুলনায় ঋণের হার হয়েছে ২৮.৫%। ২০২২-২৩-এর তুলনায় কেন্দ্র, রাজ্য, দুই ক্ষেত্রেই ঋণের বোঝা বেড়েছে।
এখন রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতিতে বাজেট শৃঙ্খলা আইন অনুযায়ী লাগাম পরানো রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি আর্থিক বছরের একদম শুরুতে প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্য ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেয়। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, কিছু রাজ্য বাজেটের বাইরে রাজ্যের আওতাভুক্ত সংস্থা বা বিশেষ সংস্থা তৈরি করে তার পরে সেটির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে থাকে। যদিও রাজ্য সরকারকে তার সুদ গুনতে হয়। ২০২২-এর মার্চ মাসে রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংস্থারগুলির ঋণও রাজ্য সরকারের ঋণ হিসেবেই ধরা হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)