দু’দিন ব্যায়াম করার পর পাঁচ দিন বিশ্রাম নিয়ে ফেলেন? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিন বাড়ি ফিরে শুয়ে শুয়ে রিল দেখেন। নেটপ্রভাবী থেকে বলিউডের বিখ্যাত তারকারা শরীরচর্চার ভিডিয়ো পোস্ট করেন। লক্ষ লক্ষ তাঁদের অনুরাগী। শরীরচর্চা করার পোশাক পরে, মানানসই গান কিংবা যন্ত্রসঙ্গীতের সঙ্গে করা সেই সব রিল দেখতে মন্দ লাগে না। কিন্তু দৌড় ওই দেখা পর্যন্তই। সকালবেলা উঠে নিজের গায়ের ঘাম ঝরাতে কিছুতেই ইচ্ছে করে না। অনেকের কাছে শরীরচর্চা না করার বড় একটি কারণ হল সময়াভাব। সারা দিন ঘরে-বাইরে নানা রকম কাজের মধ্যে থেকে সময় বার করাই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে আবার শরীরচর্চা করলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন না। দু’দিন ব্যায়াম করার পর পাঁচ দিন বিশ্রাম নিয়ে ফেলেন। তার পর আবার নতুন করে শুরু করতে মারাত্মক বেগ পেতে হয়। তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, শরীরচর্চা করতে গিয়ে যদি খুব কষ্ট হয়, তা হলেও দু’দিনের বেশি বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয়। একটানা চার দিন ব্যায়াম বা জিম করার পর দু’দিন বিশ্রাম নিতেই পারেন। কিন্তু শর্ত আছে। শরীরচর্চা না করতে পারলেও দেহের পেশিকে সেই পরিশ্রম ভুলতে দেওয়া যাবে না। তা হলে কী করতে হবে?
১) এমন কাজ বেছে নিন, যাতে শরীরচর্চার সমান ক্যালোরি পোড়ে। জিমে না হয় না-ই গেলেন। ঘরের এমন কিছু কাজ করুন, যাতে অঙ্গ সঞ্চালন হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন। ঘর মুছতে পারেন। ছাদে জামাকাপড় শুকোতে দিলেও কাজ হবে।
২) সারা দিনে কখন কী করবেন, সেই সময় ভাগ করে নিন। বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে না পারলে, অফিসে গিয়েও করতে পারেন। জরুরি কথা বলতে বলতে অফিসের নীচে খানিকটা পায়চারি করে নিতে পারেন।
৩) সময় পেলেই একটু স্ট্রেচ করে নিন। হেঁশেলের উঁচু তাক থেকে হাত তুলে কিছু পাড়তে চেষ্টা করুন। কিন্তু পায়ের তলায় টুল নেবেন না। প্রয়োজনে মাটি থেকে গোড়ালি তোলা যেতে পারে। আবার হয়তো খাটের তলায় কিছু একটা ঢুকে গিয়েছে। কোমর ভেঙে, নিচু হয়ে লাঠি দিয়ে না টেনে পা দিয়ে টেনে বার করার চেষ্টা করুন। অবশ্যই আয়ত্তের মধ্যে থাকলে।
৪) শরীর কী চাইছে, তা বুঝে শরীরচর্চা করুন। যদি খোলা হাওয়ায় হাঁটতে ভাল লাগে, একটা দিন তা-ই করুন। আবার যদি এক দিন সাঁতার কাটতে মন চায়, তা-ও করা যেতে পারে। শরীরকে জোর করে কিছু না করানোই ভাল।
৫) এমন কারও সঙ্গে কথা বলুন, যিনি বা যাঁরা শরীরচর্চার বিষয়ে আপনাকে উৎসাহিত করতে পারেন। সকালে উঠতে না পারলে আর ব্যায়াম করা যাবে না। কিংবা রাত হয়ে গিয়েছে বলে আর হাঁটা যাবে না, এমন মানসিকতাও ত্যাগ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy