জন্মদিনের প্রাক্কালে আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের উত্তর দিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আউটডোরে টানা শুটিং করছেন। বিগত কয়েক সপ্তাহ ফোন থেকেও বজায় রাখছেন মাপা দূরত্ব। প্যাকআপের পর হোটেলে ফিরে যখন তাঁকে ফোনে পাওয়া গেল, তখন মধ্যরাত অতিক্রান্ত। কোনও ক্লান্তি নেই। ঋত্বিক-সুলভ হাসি দিয়ে বললেন, ‘‘কাল ভোরে কলটাইম। এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’’ আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।
প্রশ্ন: জন্মদিন শুরু হতে আর মাত্র ২৩ ঘণ্টা।
ঋত্বিক: ৪৭-এ পা দেব। তবে আলাদা করে কিছু মনে হচ্ছে না (হাসি)।
প্রশ্ন: শুনলাম, গত কয়েক সপ্তাহ আপনার মোবাইলে নাকি সারাক্ষণ চার্জ দিতে হয়েছে।
ঋত্বিক: কেন বলুন তো?
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নিশ্চয়ই কম ফোন আসেনি?
ঋত্বিক: (হেসে) ওরে বাবা! প্রচুর ফোন এসেছে। তবে আমি সব ফোন ধরিনি। এমনিতেই খুব বেশি ফোনে কথা বলা পছন্দ করি না। খেয়ালও করিনি।
প্রশ্ন: এ বারের জন্মদিনটা কী ভাবে কাটাবেন?
ঋত্বিক: শুটিং রয়েছে। বীরভূমের প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছি। তাই কাজের মধ্যেই কাটবে। আগেও এ রকম বহু বার হয়েছে। তা ছাড়া আমি কোনও দিন জন্মদিন নিয়ে বিশেষ মাতামাতি করিনি। অনেকে হয়তো করেন। কিন্তু দিনটাকে আলাদা করে উদ্যাপন করার চেষ্টাও করিনি।
প্রশ্ন: এখন তো জন্মদিন হলেই অনেক তারকা বিশেষ পার্টি দেন। সমাজমাধ্যমে ফলাও করে জন্মদিনের প্রচারও করেন।
ঋত্বিক: (হাসতে হাসতে) তা অবশ্য হচ্ছে বটে। তা বলে আমি তাঁদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু আমি ও রকম উদ্যাপন থেকে শত যোজন দূরে।
প্রশ্ন: জন্মদিনে বিশেষ কোনও রেজ়োলিউশন নেবেন?
ঋত্বিক: (একটু ভেবে) অনেক বয়স হল। এ বারে ধূমপান ছাড়তে চাই। এ ছাড়া কোনও রসালো রেজ়োলিউশন নিতে পারছি না।
প্রশ্ন: এ বছর এখনও কোনও বাংলা ছবি হিট করেনি। বরং একাধিক তারকার নাম জড়াচ্ছে দুর্নীতিতে। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে একজন অভিনেতার জীবিকা নির্বাহ করা কি খুব কঠিন?
ঋত্বিক: বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতার জীবনটা চিরকালই কঠিন। এখন সত্যিই সেই লড়াই আরও বেড়েছে। কারণ অতিমারির পর মানুষের কাছে বিনোদনের সংজ্ঞাটাই বদলে গিয়েছে। হয়তো মানুষ ‘আমোদমুখী’ ছবিতে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আবার বিপরীতে এটাও মানতে হবে যে, অভিনয়ের সঙ্গে আশাবাদ জড়িয়ে না থাকলে একজন ব্যক্তি অভিনেতা হয়ে উঠতে পারেন না।
প্রশ্ন: কী রকম?
ঋত্বিক: ধরা যাক, হঠাৎ একটা সুযোগ এল। কোনও ব্যক্তি অভিনয় করেও ফেললেন। কিন্তু তার পর তাঁকে যদি সংসারটা টানতে হয়, তা হলে মনের মধ্যে আশাবাদ জাগিয়ে রাখতেই হবে। আসলে, শিল্পীর জীবন সব সময়েই অনিশ্চয়তায় ঘেরা। কখনও তার প্রকোপ বাড়ে, কখনও কমে।
প্রশ্ন: পরজন্মে কি অভিনেতাই হতে চাইবেন?
ঋত্বিক: একদম নয়। অন্য জীবনযাপন করতে চাই। এই জীবনের অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। পাইলট হতে পারি, স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষক হতে পারি।
প্রশ্ন: অভিনেতা হিসাবে আপনি বহুল প্রশংসিত। তার পরেও এতটা মাটির কাছাকাছি থাকেন কী ভাবে?
ঋত্বিক: এর উত্তর আমার জানা নেই। আমি মাটির কাছাকাছি থাকতে চাই বললে হয়তো থাকা যায় না। আসলে কোনও ব্যক্তি যে ভাবে জীবন কাটাতে চান, তিনি সেই ভাবেই কাটান। আমার যা চাহিদা জীবন থেকে সেগুলো আমি পাই। তাই আলাদা করে আমি মাটিতে পা রেখে চলি, বা আমার গা থেকে মাটির গন্ধ বেরোচ্ছে— এ সব বাজে কথা।
প্রশ্ন: আপনাকে এখনও অটোয় চড়তে দেখা যায়। রাস্তায় দিব্যি হাঁটতে দেখা যায়।
ঋত্বিক: ট্যাক্সি পাইনি বলে অটোয় চেপে পড়লাম, সময় বাঁচল। এটা তো উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয়। সে দিনও আউটডোরে আসার আগে বাড়ির প্রয়োজনেই সকালে বাজারে গিয়েছিলাম। জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে আমার আলাদা করে কিছু প্রমাণ করার তাগিদ নেই।
প্রশ্ন: অনেকেই বলেন, ঋত্বিকের মতো সুযোগ অন্য কেউ পেলে এত দিনে নাকি ‘আরবানা’য় ফ্ল্যাট কিনে নিত!
ঋত্বিক: (হেসে) আমার থেকে কম সুযোগ পেয়েও লোকে অনেক কিছু করতে পারেন এবং করেওছেন। সেটা তাঁদের কৃতিত্ব। তবে, সুযোগ কিন্তু আমি খুব কষ্ট করেই পেয়েছি। তাই যা যা পেয়েছি সবটাই অর্জন। তাই যিনি এটা ভাবছেন, তিনি বরং আমাকে সরিয়ে আগে ‘আরবানা’কে টার্গেট করুন। নিশ্চয়ই পারবেন।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার মতো বন্ধু পাওয়াটা নাকি খুব কঠিন। এখনও প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বা ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ছবিতে আপনাকে দেখা যায়।
ঋত্বিক: যাঁদের নাম করলেন, তাঁদের জন্যেই আমি চিরকাল ওঁদের ছবি করেছি। সৌভাগ্যক্রমে ওঁরা আবার আমার ভাল বন্ধুও। তাই একটা আলাদা কমফর্ট জ়োনও রয়েছে। আমি যে ধরনের ছবিতে বিশ্বাস করি, সেই ভাবনার সঙ্গে কোথাও ওঁদের ভাবনাও মিলে যায় বলে পর পর কাজ করেছি। শুধুই বন্ধু বলে যে ওঁদের পাশে রয়েছি, সেটা ঠিক নয়। আবার অনেক সময় এ রকমও হয়েছে যে খুব ভাল বন্ধু, কিন্তু চিত্রনাট্য পছন্দ হয়নি বলে তাঁকে সরাসরি না বলেছি।
প্রশ্ন: এখন নাকি অভিনেতাদের নিজেকে ‘সুন্দর’ না রাখলে চলে না। আপনি সেখানে চুল নিয়ে এত উদাসীন কেন? ‘টেকো’ নামে একটা ছবিতেও অভিনয় করে ফেলেছেন!
ঋত্বিক: (প্রচণ্ড হেসে) যার নিজেকে সুন্দর মনে হয় না, সে বড় অভাগা! চেহারাই অভিনেতার অস্ত্র। আমি সেটাকে খুব ভাল করে ব্যবহার করি।
প্রশ্ন: তার মানে হাতে কোনও ঢাল রাখতে চান না।
ঋত্বিক: নিজেকে ‘মেনটেন’ করার অর্থটা প্রত্যেকের কাছে আলাদা। তার মানে এই নয় যে, আমাকে নিয়মিত জিমে যেতে হবে বা সারা ক্ষণ ডায়েটের মধ্যে থাকতে হবে। সেটা হলে বহু চরিত্রে আমি নিজের উপরেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাব। ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিতে আমার পেশিবহুল চেহারা হলে নিশ্চয়ই সেটা মানানসই হত না!
প্রশ্ন: কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে...?
ঋত্বিক: কেন নয়? আমি আমার কেরিয়ারে চরিত্রের জন্য নানা ট্রান্সফর্মেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে নিশ্চয়ই ওজন বাড়াব বা কমাব।
প্রশ্ন: সমাজমাধ্যমের দৌলতে এখন অভিনেতার তুলনায় ‘অ-অভিনেতা’দের নিয়ে আলোচনা নাকি অনেক বেশি হয়। খারাপ লাগে না?
ঋত্বিক: আমার মতে, অভিনেতাদের নিয়ে আজকাল বরং অনেক বেশি কথা হয়। সারা ভারতের অভিনেতাদের নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করি। আবার পাশাপাশি এটাও শুনছি যে, ইনস্টাগ্রামের অনুসরণকারী দেখে নাকি কাস্টিং হচ্ছে! অতীতে তো অনেক অ-অভিনেতাও রমরমিয়ে বহু বছর রয়ে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র দর্শকের চাহিদায়। ভবিষ্যতেও সেটা হতে পারে। আবার প্রচুর অনুসরণকারী থাকা সত্ত্বেও কেউ হারিয়ে যেতে পারেন। কে থাকবেন, কে থাকবেন না— ঠিক করেন দর্শক।
প্রশ্ন: ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ ছবির শুটিংয়ের পর প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, প্রত্যেক দিন শট দেওয়ার আগে তিনি নাকি ভয় পেতেন। কারণ বিপরীতে ছিলেন আপনি। এই রকম প্রশংসায় কি একটু মনের মধ্যে আত্মশ্লাঘা বাসা বাঁধে?
ঋত্বিক: খুবই বিব্রত লাগে। সঙ্কোচ বোধ হয়। কিন্তু পাশাপাশি ভালও লাগে। কারণ মানুষটা বুম্বাদা। উনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন।
প্রশ্ন: দর্শক আপনার অভিনয় পছন্দ করেন। নতুনরা আপনার মতো হতে চান। ঋত্বিক চক্রবর্তীর অনুপ্রেরণা কারা?
ঋত্বিক: অনেকেই রয়েছেন। যেমন রবি ঘোষের কথা বলতেই হবে। দীর্ঘ দিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে দক্ষিণী অভিনেতা ফাহাদ ফাসিলের কথা বলেছিল। অতিমারির পর তো এখন ওঁকে সারা দেশের মানুষ চেনেন। এখন কনটেন্ট বেড়েছে। তাই নতুন অভিনেতা আবিষ্কার করতে বেশ ভাল লাগে। কারও অভিনয় ভাল লাগলে, পর পর তাঁর বেশ কয়েকটা কাজ দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনি তো সব সময়েই হাসিখুশি। কিন্তু মনখারাপ হলে বা জীবনের কোনও ধাক্কা এলে সামলে ওঠেন কী ভাবে?
ঋত্বিক: সেটব্যাক অনেক রকমের হতে পারে এবং সেটা জীবনেরই অংশ। পরিবার ছাড়াও নিজের সঙ্গেও আমার অনেকটাই সময় কাটে। গান শুনি। কখনও হয়তো চুপ করে বসে থাকি। বাগান করতে ভাল লাগে। বাড়ির ছাদে একটা ছোট্ট বাগান আছে। অনেকটা সময় কেটে যায়।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে আপনাকে তো দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছিল।
ঋত্বিক: প্রচণ্ড। তাই কোনও একটি নির্দিষ্ট দিনে ফিতে কেটে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলাম, এটা বলতে পারব না। প্রথমে তো একটা ছোটখাটো সিনের জন্যও দরজায় দরজায় ঘুরতে হত। অপরাজিতা (ঋত্বিকের স্ত্রী) যখন লিড চরিত্রে অভিনয় করছে, আমি তখন কাজের চেষ্টা করছি। ‘চলো লেটস গো’র আগে ‘পাগল প্রেমী’ বলে একটা বাণিজ্যিক ছবিও করেছিলাম। কিন্তু প্রথম কাজের একটা ছোট্ট দৃশ্যের সেই অভিজ্ঞতাটা এখনও মনে আছে। পরবর্তী জীবনে পাওয়া বড় চরিত্র কিন্তু ওই প্রথম অভিনয়ের আনন্দটাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।
প্রশ্ন: আপনার স্ত্রী অপরাজিতা (ঘোষ দাস) শক্তিশালী অভিনেত্রী। কিন্তু এখন ওঁর কাজের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার পিছনে কি বিশেষ কোনও কারণ আছে?
ঋত্বিক: এখন সিরিয়ালে অভিনয় করছে। কিছু দিন আগে একটা ওয়েব সিরিজ় করেছে। আসলে শুরু থেকেই অপরাজিতা বেছে বেছে এবং বিরতি নিয়ে কাজ করেছে। তবে ওকে আমিও এ বার কাজের সংখ্যা বাড়াতে বলেছি।
প্রশ্ন: নিন্দকরা এ রকমও বলেন যে, স্ত্রী বেশি কাজ করুন, সেটা নাকি আপনার পছন্দ নয়।
ঋত্বিক: এই বিষয়ে অপরাজিতার প্রচুর সাক্ষাৎকার রয়েছে। যাঁরা বলেন, তাঁদের সেগুলো একবার ঘেঁটে দেখতে বলব।
প্রশ্ন: যে কোনও ভিড় বা সিনেমার পার্টিতে এক কোণে বসে থাকেন। বিতর্ক থেকে আপনি সব সময়েই দূরে। এটা কি সচেতন সিদ্ধান্ত?
ঋত্বিক: সচেতন ভাবে বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হলে তো জীবনকেও বেঁধে ফেলতে হয়। নিজেকে তো কোনও নিয়ম-নিষেধাজ্ঞায় বেঁধে রাখিনি। তাতে বিতর্ক তৈরি হলে তখন দেখা যাবে।
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের ছবি করেছেন বলে কি হঠাৎ করে খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হল?
ঋত্বিক: এটা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমি আমার কাজ করে যাব। কী অদ্ভুত সব প্রশ্ন— ‘‘আচ্ছা, তখন ওঁকে দেখে কিছু সন্দেহ হয়েছিল?’’ প্রযোজক দুর্নীতিগ্রস্ত কি না, কোনও অভিনেতাই আগে থেকে দেখেন না, বা দেখা সম্ভবও হয় না। উনি যে দুর্বৃত্ত হয়ে এত দিন খোলাবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, সে দায় কি অভিনেতার? মালিক সৎ না অসৎ, সেটা যিনি চাকরি করছেন তার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: প্রয়োজনে তদন্তে সাহায্য করবেন?
ঋত্বিক: অবশ্যই।
প্রশ্ন: প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও আপনার একটা নিজস্ব প্রতিবাদের ভাষা রয়েছে। সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমকেও ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গে সপাট উত্তর দেন। ভয় করে না?
ঋত্বিক: মারাত্মক সাহসী কোনও বক্তব্য রেখেছি বলে মনে হয় না। প্রতিটা রাগের মুহূর্তকেও আমি পাবলিক করার পক্ষপাতী নই। তাই সব ক্ষেত্রে যে সমাজমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছি, তা নয়। যখন মনে হয়েছে, বলেছি। তাতে খুব যে ভয় করে, তা নয়। তুলনায় অনেক ভয় পাওয়ার মতো কাজ আশপাশে মানুষ করে বেড়াচ্ছেন বা বলছেন।
প্রশ্ন: আপনার ছেলের (উপমন্যু) বয়স এখন কম। ভবিষ্যতে ও অভিনয় করলে কি খুশি হবেন? আপনার কী ইচ্ছে?
ঋত্বিক: ওর এখন সবে ক্লাস ফোর। তাই যে কোনও বিষয়ে ওর মনে একটা ‘ইচ্ছে’ তৈরি হোক এটাই চাই (হাসি)।
প্রশ্ন: আগামী বছর জন্মদিনে উইকিপিডিয়ায় নিজের পেজে কী কী তথ্যের সংযোজন দেখতে চান?
ঋত্বিক: দেখুন, জীবনে কোনও দিন লক্ষ্য স্থির করে এগোইনি। টার্গেটের চাপ ছিল বলে এক বছরের মাথায় সেলসের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলাম। টার্গেট ছাড়াই আমি সবচেয়ে শান্তিতে থাকি। এই বেশ ভাল আছি। জীবন যে পথে নিয়ে যায় হাঁটব। তাতে উইকিপিডিয়ায় কী উঠল, তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy