বলিউডের গণ্ডি ছাড়িয়ে হলিউডেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে অভিনয়ের সফর শুরু হওয়ার আগে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব আসে তাঁর ঝুলিতে। সেখান থেকেই গ্ল্যামার দুনিয়ার অন্যতমা হয়ে ওঠার শুরু। কিন্তু বিশ্বব্যপী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করলেও নিজের নাকের গঠন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অভিনেত্রী। ‘নাসাল পলিপ’-এর জন্য ২০০০ সালে গোড়ার দিকে নাকের অস্ত্রোপচার করান প্রিয়ঙ্কা। এই অস্ত্রোপচারে জটিলতার কারণে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। এই বিপর্যয় সত্ত্বেও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু প্রাথমিক ভাবে প্রভাব পড়েছিল অভিনেত্রীর উপর। বলিউডে আত্মপ্রকাশের আগে এক প্রকার ভেঙে পড়েছিলেন। নাকের গঠন নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। সারা ক্ষণ বলতেন, “এটা আমি নই। কী করতে গেলাম আর কী হয়ে গেল!” সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কার মা মধু চোপড়া একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন। তিনি জানালেন, মেয়েকে খুব একটা পরামর্শ দিতে পারেননি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবা বলেছিলেন, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। সব কিছুই সংশোধন করা সম্ভব।”
আসলে সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতেও নানা ব্যক্তি প্রিয়ঙ্কাকে ফের অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু নাক নয়, চোয়াল, চেহারাতেও বদল ঘটাতে বলেছিলেন। মেয়ে মুষড়ে পড়ায় বাবা সাহস জুগিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “আরে এই মুখ নিয়েই তো বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব পেয়েছো তুমি! চিন্তার কোনও কারণ নেই। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। সব ঠিক করে নেওয়া যাবে।”