বুকের পাটা আছে পায়েল সরকারের, এমনটাই বলছে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার মানুষেরা। শনিবারের রাত পোহালেই তিনি ‘রিনা ব্রাউন’! শুধু একটা দিন নয়, গত ১০ দিন ধরে তিনি এ ভাবেই দিন যাপন করছেন। ‘রিনা ব্রাউন’ হয়ে! রবিবার তিনি সুচিত্রা সেনের জুতোয় পা গলাবেন। “পান থেকে চুন খসলে দর্শকদের একটা মার বাইরে পড়বে না!” আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে কথোপকথনের শুরুতেই বললেন তিনি।
পায়েল কোথায়, কী করে ‘রিনা ব্রাউন’? জানতে চাইতেই অভিনেত্রী জানালেন, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘সপ্তপদী’ ১৩ এপ্রিল মঞ্চস্থ হতে চলেছে, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের রচনা বিন্যাসে। “এর আগেও খ্যাতনামীদের সঙ্গে মঞ্চাভিনয়ের ডাক পেয়েছি। পারব কি পারব না— এই ভয়ে রাজি হইনি।” এ বার সেই ভয় দ্বিগুণ হয়ে চেপে বসেছিল। আর ছিল লোভ। অন্তত একবার ‘রিনা ব্রাউন’ হতে কোন অভিনেত্রী না চান? সেই লোভই তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। “উজ্জ্বলদা দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই রাজি হয়েছি”, দাবি পায়েলের।
রুপোলি পর্দার ‘সপ্তপদী’ অভিনেত্রীর মুখস্থ? কথা শেষের আগেই জবাব হাজির। “না, আমি দেখিনি। যতই ছবির প্রত্যেক দৃশ্য মুখস্থ থাক। আমি তো জানি, কিছুতেই সুচিত্রা সেন হয়ে উঠতে পারব না!” অকপট স্বীকারোক্তি তাঁর। উত্তমকুমার অভিনীত ‘কৃষ্ণেন্দু’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন দীপ। ছবি বিশ্বাসের জুতোয় পা গলিয়েছেন দুলাল লাহিড়ি। ‘রিনা’র মায়ের ভূমিকায় পর্দায় ছায়াদেবী। মঞ্চে দোলন রায়। নিজে চরিত্র হয়ে উঠতে পারবেন তো? আপাতত এই চিন্তা ঘুরছে পায়েলের মাথায়।
আরও পড়ুন:
সেই বিখ্যাত গান ‘এই পথ যদি না শেষ হয়...’ মঞ্চেও থাকবে? “উত্তমকুমার থাকলে যে করে হোক ওই গান মঞ্চস্থ করাতাম। ঠোঁটও মেলাতাম।” উত্তমকুমার নেই! গানটি তাই নেপথ্য সঙ্গীত হিসাবে শোনা যাবে।
নাটকের ভিতরে ‘ওথেলো' নাটকের দৃশ্যে কি কৃষ্ণেন্দু কি হাত ঢেকে চুমু খাবেন ‘রিনা’কে?
পায়েল সরকারের উত্তর কানে লেগে থাকার মতোই। বললেন, “মঞ্চে আমরা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখাতে পারি না। ফলে, ও ভাবেই এখানেও দৃশ্যটি দেখানো হবে।”