একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন শিবপ্রসাদ-অপরাজিতা।
জন্মদিনে কাউকে ফেরাতে নেই, জানেন অপরাজিতা আঢ্য। তাই প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটি বাঁধার আবদার রাখতেই এক কথায় রাজি অভিনেত্রী। এটাই কি পরিচালক বন্ধুকে জন্মদিনের ‘রিটার্ন গিফট’ দিলেন? প্রশ্ন শুনেই ফোনে হাসিতে ফেটে পড়েছেন অপরাজিতা। ফেরৎ উপহারের পাশাপাশি ফেরত বার্তাও পাঠিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে। দাবি, ‘‘আমি তোর সঙ্গে জুটি বাঁধব শিব। কিন্তু পরিচালনার দায়িত্ব তোকেই নিতে হবে। তুই রাজি তো?’’
কেন শিবপ্রসাদকেই পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে? সে কথাও তিনি বিস্তারিত বলেছেন, ‘‘অন্য পরিচালকদের সম্মান জানিয়েই বলছি, শিব ওর ছবিতে আমায় প্রতি বার ভিন্ন ভাবে উপস্থাপিত করেছে। তাই ও পরিচালনা করলে সেই ছবি ‘কাল্ট’ হবে। আমি শিবের সঙ্গে ১০০টি ছবিতে জুটি বাঁধতে রাজি। তার পরেও জানি, ইতিহাস গড়বে ওর পরিচালিত ছবিই। তাই এই আবদার।’’ অপরাজিতা আরও জানিয়েছেন, শিবপ্রসাদ তাঁর অভিনয় জীবনের প্রথম নায়ক। তাঁরা প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন ছোট পর্দায়। ‘সিংহবাহিনী’ ধারাবাহিকে। এর পর শেখর সমাদ্দারের একটি ছোট ছবিতেও কাজ করেছেন একসঙ্গে। ২৬ পাতার চিত্রনাট্য পরিচালক ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন এক শটে!
সোমবার মধ্যরাত থেকেই জমে গিয়েছে অভিনেত্রীর জন্মদিন। বান্ধবী, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কেটেছেন তিনি। তবে অপরাজিতার মতে, জন্মদিন জমেছে ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’-এর সেটেই। সেখানেই প্রথম কেক এনে উদযাপনের শুরু। আপ্লুত অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘২৫ বছরের অভিনয় জীবনে এই প্রথম কোনও সেটে আমার জন্মদিনের কেক কাটা হল! আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল।’’ এ রকম চমক যে তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। তাই সাদামাঠা পোশাকেই চলে গিয়েছিলেন। শ্যুট শেষ হতেই দেখেন সুন্দর করে সাজানো কেক হাজির। অভিনেত্রীর ঝুলিতে সব সময়েই একটি করে ভাল শাড়ি থাকে। ‘‘ ঝটপট সাজ বদলে নিজেকে গুছিয়ে নিলাম। কত উপহার পেলাম! সমস্ত চ্যানেল, প্রযোজনা সংস্থা ফুল, কেক পাঠিয়েছে। ধারাবাহিকের সেটের একটি ছোট্ট মেয়ে কী দামি একটা ব্যাগ দিয়েছে! খুব বকেছি তাকে। ভীষণ খুশিও হয়েছি’’, বক্তব্য অপরাজিতার। তাঁর কথায়, এক একটি ধারাবাহিকের সেট শুরু থেকেই পরিবার হয়ে ওঠে। ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’-এর ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে।
বাড়িতে সারাদিন কী কী হল? আবেগ সরিয়ে ফের ঝলমলে অপরাজিতা, শাশুড়ি মা পঞ্চব্যঞ্জনে পাত সাজিয়ে খেতে দিয়েছেন। তালিকায় ন’রকমের ভাজা, তরি-তরকারি, রকমারি মাছ, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি। এক বন্ধু কেকের পাশাপাশি উপহার হিসেবে দিয়েছেন পোশাক। আত্মীয়রা পায়েস রেঁধে এনেছেন। অপরাজিতা গলায় রুদ্রাক্ষ পরেন। স্বামী সেই মালা নতুন করে সোনায় গেঁথে দিয়েছেন। রাতের খাওয়া দাওয়া মায়ের কাছে। সেখানে তাঁর দিদি-বোনের জন্য নিজের হাতে রকমারি পদ রেঁধে রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy