গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
লোকসভা ভোটের প্রচারে ঘৃণাভাষণের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি এসসি শর্মার বেঞ্চ মঙ্গলবার আবেদনকারীকে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের’ (অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন) দ্বারস্থ হওয়ায় ‘পরামর্শ’ দিয়েছে।
আবেদনকারী ফতিমার আইনজীবী আনন্দ এস জোন্ধালে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেন, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করে লোকসভা ভোটের প্রচারে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কথা বলছেন মোদী। যা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। শাস্তি হিসাবে ছ’বছরের জন্য মোদীর ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করারও আবেদন জানান আইনজীবী জোন্ধালে।
জবাবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘‘আপনি কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? এই আবেদন জানানোর আগে আপনাকে প্রথমে কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হবে। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি শর্মার বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, প্রথম দফার ভোটের পরেই প্রচারে ধর্মের জিগির তোলার অভিযোগ উঠেছে মোদীর বিরুদ্ধে।
আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসের শেষে নির্বাচন কমিশন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই নোটিসে প্রধানমন্ত্রীর নামের উল্লেখ ছিল না! তার পরেও মোদী ধারাবাহিক ভাবে, ‘মুসলিম সংরক্ষণ’, ‘বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলানো’, ‘দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া’র মতো মন্তব্য করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy