উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। চারতলা ওই বাড়ির একটি তলে থাকত আহমদের পরিবার। স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ওই বাড়িতে। কিন্তু শুক্রবার রাতে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা তাঁর দুই সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে। আহমদ, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা নেহা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
আহমদের জ্যেষ্ঠ পুত্র দানিশ এবং কনিষ্ঠ পুত্র নাভেদের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। পরিবার সূত্রে খবর, এক দুর্ঘটনায় চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে আহমদের। তার পর থেকেই সংসারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দানিশ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। দানিশ এবং তাঁর বোন নেহার বিয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। হাসপাতালে শুয়ে আহমদ বলেন, ‘‘সব শেষ হয়ে গেল। আমার দুই ছেলেকে হারালাম। কী ভাবে কী যে ঘটে গেল ভাবতে পারছি না। আমাদের পরিবার ভেসে গেল।’’
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ২০ বছর আগে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এক তলায় বাড়ির মালিক তহসিন থাকতেন। নীচের তলায় দোকান ছিল। এই ঘটনায় আহত হয়েছে তহসিনের পরিবারও। তবে স্থানীয়দের একাংশ আবার দাবি করেছেন, বাড়িটি বিপজ্জনক ছিল। প্রশাসনেরও একই দাবি। গত শুক্রবার রাতে মুস্তাফাবাদে চারতলা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান বাড়ির বাসিন্দারা। স্থানীয়েরাই অনেককে উদ্ধার করেন।