সংগৃহীত চিত্র।
ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম থেকে বঞ্চিত রাজ্যের স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষক মহলে। রাজ্য সরকারি কর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সর্বোপরি পঞ্চায়েত কর্মীদেরও এই স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। অবিলম্বে হেলথ স্কিম সকল স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের জন্য চালু হোক-- এই দাবিতে সরব হতে শুরু করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকারি কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-সহ সবার জন্য পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিম চালু থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর জন্য হেলথ স্কিম নেই। আমাদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সারা রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।”
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মহলের একাংশ এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমের আওতায় আনা হোক। এই দাবিতে বহু বার ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতরের কাছে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আমরা বহু বার দাবি জানালেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এ দিকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, যাঁরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক বেশি সচ্ছল। অবিলম্বে দ্বিচারিতা বন্ধ করে সকলের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হোক।”
স্বাস্থ্য সাথীর বদলে পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমের সুযোগ দিয়ে দীর্ঘ দিনের এই বঞ্চনা দূর করা হোক-- এই দাবিতে খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য ভবন এবং শিক্ষা দফতর অভিযানের ডাক দিয়ে পথে নামতে চলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী যখন পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আওতায় নিয়ে আসেন, তখনই আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবকে আবেদন করেছিলাম, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য। ফাইল মুভ করছিল। কিন্তু জানি না কী রহস্যজনক কারণে এখনও বিষয়টা আটকে আছে।”
শিক্ষকমলের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য স্কিমের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিচারিতা করে শিক্ষক মহলকে ছোট করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য যে কোনও সরকারি কর্মচারীর থেকে পদমর্যাদায় শিক্ষকরা অনেক উচ্চস্থানে।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অবশ্যই ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আনা উচিত। যে কোনও পদের সরকারী কর্মচারী এই স্কিমে থাকলে এক জন শিক্ষক যিনি পদ মর্যাদাতে উপরের দিকে, তিনি কেন এই স্কিমের আওতায় পড়বেন না? বুঝতে পারি না। স্বাস্থ্যসাথী কি শিক্ষক পদমর্যাদার সঙ্গে মানানসই?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy