সংগৃহীত চিত্র।
এ বার মাদ্রাসা বোর্ডেও উচ্চ মাধ্যমিক (ফাজিল) স্তরে পড়ানো হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয়। আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশনের অধীনস্থ বিভিন্ন জেলার ১১ স্কুলে কর্মমুখী এই দুই বিষয় পড়ানো হবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের ডিরেক্টর আবিদ হুসেন বলেন, “আমরা ১১টি স্কুলকে চিহ্নিত করেছি, যেখানে এই দু'টি আধুনিক পাঠক্রম পড়ানো হবে। এর মধ্যে ছ'টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলও রয়েছে। এই সমস্ত স্কুলে ল্যাবরেটরিগুলোকে নতুন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে আমরা তা সম্পন্ন করে ফেলব।”
বোর্ডের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করা এই ১১টি স্কুলে যে সমস্ত পড়ুয়ারা ভর্তি হবে, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্সের মধ্যে যে কোনও একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারবে। ২০২৬ সালে তারা প্রথম এই নতুন বিষয়ে পরীক্ষা দেবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ার মতো জেলার স্কুলগুলিতেও এই আধুনিক পাঠক্রম পড়ানো হবে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।
স্বভাবতই নতুন কোনও পাঠ্যক্রম চালু হলে সেই বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন হয়। মাদ্রাসা বোর্ডের তরফে থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত স্কুলকে বাছাই করা হয়েছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই বিষয় হিসেবে কম্পিউটার পড়ানো হয়ে থাকে। তার নির্দিষ্ট শিক্ষকও রয়েছেন। তবে আধুনিক দু’টি পাঠক্রম শুরু হওয়ার আগে ওই শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স-সহ বেশ কিছু আধুনিক বিষয় নিজেদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করেছে। উচ্চশিক্ষায় এই ধরনের বিষয়ের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোর্ডের ডিরেক্টর আবিদ জানান, এ কথা মাথায় রেখে মাদ্রাসা বোর্ডও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ধরনের প্রযুক্তিবিদ্যা পড়ানো হবে ছাত্রছাত্রীদের।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে এ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক (ফাজিল) স্তরে ৩৪৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৫,৫৩০.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে তারা। যা ২০১১ অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ গুণ বেশি। আবিদের কথায়, "রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু শিক্ষার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। আমরা বোর্ডের তরফ থেকেও চাই ছাত্রছাত্রীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। তাই এই নতুন পাঠ্যক্রমে পড়ুয়াদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy