কেন হঠাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে আসার প্রয়োজন হল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আমেরিকার নতুন বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের যুক্তি, ‘‘ওয়াশিংটনের থেকে বছরে ৫০ কোটি ডলার অনুদান পায় হু। আর চিন দেয় মাত্র ৩.৯ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ বাস করেন ড্রাগনভূমিতে। আর তাই এ ব্যাপারে বেজিঙের খরচের অঙ্ক আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত।’’
হু থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে একেবারেই অনৈতিক বা অন্যায্য বলে মানতে নারাজ ট্রাম্প। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁর এ হেন সিদ্ধান্তের বীজ লুকিয়ে রয়েছে কোভিড অতিমারির মধ্যে। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট মনে করেন বেজিঙের হয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর সেটা কখনওই বরদাস্ত করবেন না তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজ়েশন বা ইউএনও) অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংগঠন হল হু। সারা বিশ্বে এর ১৫০-এর বেশি ফিল্ড কার্যালয় রয়েছে। বিভিন্ন মারণব্যাধির চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর রয়েছে সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভা শহরে। এর জন্মের তারিখটি হল ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল।
এ ছাড়া জনসংখ্যা এবং আর্থিক সঙ্গতির উপর নির্ভর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য কিছু রাষ্ট্রের থেকে বিশেষ অনুদান নিয়ে থাকে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এর জন্য প্রতি দু’বছর অন্তর ইউএনওর ভিতরে চলে ভোটাভুটি। বিশেষ অনুদানের পুরোটাই চলে যায় হু-এর কোষাগারে। সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠনটির ওই টাকা ইচ্ছামতো খরচ করার অধিকার রয়েছে।
প্রায় একই কথা বলেছেন মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেল্থের জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাককয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আফ্রিকার গরিব দেশগুলির পক্ষে ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা চালানো একরকম অসম্ভব। হু-এর আর্থিক সঙ্গতি কমলে সেখানে স্বাস্থ্য সহযোগিতা বন্ধ করতে পারে এই সংগঠন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy