আলিপুদুয়ারে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবারই আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে দেখা গেল তৃণমূলের শীর্ষনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায়। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, আগামী সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। বার্লা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘যাঁর যে রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা, সেটি তিনি করতে পারেন। কেউ বাধা দিতে পারে না। এই মুহূর্তে কিছু বলার নেই। উনি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা দেখে যা বলার বলব।’’
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি জনসভা ছিল। সেখানেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বার্লাকে। যদিও বিজেপির প্রাক্তন এই সাংসদ বুধবারই জানিয়েছিলেন যে, রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ নিমন্ত্রণ মিলেছে, তাই সুভাষিণী চা বাগানে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন বার্লা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বুধবার উত্তরবঙ্গে ফেরেন।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন। তাই যাচ্ছি। যদি ওঁর আশীর্বাদ মেলে, তা হলে অবশ্যই ওঁর সঙ্গে কাজ করব।’’ তার পরই বৃহস্পতিবার বার্লাকে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। তবে তাঁর যে মন্তব্য ঘিরে উত্তরবঙ্গের চা-বলয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, বৃহস্পতিবার থেকে জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেল।
দিদি আশীর্বাদ করলে তাঁর সঙ্গে তিনি কাজ করতে রাজি। তাঁর এই মন্তব্যের পরই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি এ বার পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলের পথে পা বাড়াচ্ছেন বার্লা? পাশাপাশি এই চর্চাও হতে থাকে যে, তৃণমূলে কি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের গ্রহযোগ্যতা মিলবে? সব জল্পনার নিরসন ঘটল বৃহস্পতিবার। তবে তৃণমূলে যোগদান এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ারে জিতে বিজেপির সাংসদ হন বার্লা। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। ঘটনাচক্রে, বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদই এক সময় রাজ্য ভাগের দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন, যার ঘোরতর বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy