Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Collage Admission 2024

কলেজগুলিতে প্রায় ৩০ শতাংশ আসন ফাঁকা, নতুন করে ভর্তির নির্দেশ উচ্চশিক্ষা দফতরের

দু’দফায় কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। পরে শূন্য আসনগুলি পূরণের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে কলেজগুলি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। তা শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৯
Share: Save:

তিন দফা ভর্তির পরও ফাঁকা আসন। রাজ্য জুড়ে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে প্রায় ৩০ শতাংশ আসন শূন্য বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।

উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একাধিক কলেজে এখন‌ও আসন ফাঁকা রয়েছে। আরও এক বার ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কলেজের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কলেজগুলি নিজেদের পোর্টালের মাধ্যমে ফের পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে।”

এ বছর প্রথম কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দু’দফায় কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর।

পরে শূন্য আসনগুলি পূরণের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে কলেজগুলি ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। তা শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার পর প্রায় ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা ছিল বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। অন্য দিকে, বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতিতে কলেজগুলিতে ভর্তি হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ পড়ুয়া।

সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে ছোট বড় প্রায় সব কলেজেই ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে। কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে আসন সংখ্যা ৩,১৪০। এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২,০৩২ জন। কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘‘এখন নতুন করে ভর্তি নেওয়া লোক হাসানো ছাড়া কিছু নয়। কোনও ছাত্রছাত্রী বসে নেই। অন্য কলেজে আবেদন করেও সুযোগ পাননি এমন দু’একজন ভর্তি হতে পারেন। এ ছাড়া পোর্টাল খুলে ভর্তি নেওয়ার ফলে কলেজগুলির আর্থিক ক্ষতি হবে।’’

সুরেন্দ্রনাথ কলেজে তিন হাজার মতো আসন ছিল। এ বছর ভর্তি হয়েছেন ১,৭০০ মতো। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, ‘‘আমরা নতুন করে কোন‌ও পোর্টাল খুলব না। যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী আগ্রহ দেখান, আসন ফাঁকা থাকলে ভর্তি নিয়ে নেব।’’ একই পথে হাঁটছে আশুতোষ কলেজও। ওই কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবীর আবার প্রথম সিমেস্টারের সময়সীমা বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন।

কলেজগুলিতে প্রথম দফায় ক্লাস শুরু হয়েছে ৮ অগস্ট থেকে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা। এত দেরিতে ভর্তি হয়ে কী ভাবে পড়ুয়ারা সিলেবাস শেষ করবেন? পরীক্ষাও সময়মতো নেওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন

অন্য বিষয়গুলি:

Collage UG Admission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy