নিজেকে কি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ঋষভ পন্থ? নইলে কেন একের পর এক উইকেট পড়তে দেখেও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামলেন না তিনি। শেষে সাত নম্বরে নেমে দু’বল খেললেন। শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরলেন। তাঁর খারাপ ফর্মের পাশাপাশি লখনউয়ের হালও খারাপ। দিল্লির কাছে ৮ উইকেটে হারল তারা। ঘরের মাঠে এই হারের পর টসের অজুহাত খুঁজছেন লখনউয়ের অধিনায়ক পন্থ।
টস জিতে লখনউকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। পাওয়ার প্লে-তে ভাল খেললেও শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রান করে লখনউ। পন্থের মতে, টস এই মাঠে গুরুত্বপূর্ণ। টস হারলে ম্যাচ জেতা কঠিন। তিনি বলেন, “আমরা ২০ রান কম করেছি। এখানে টস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে বোলারেরা উইকেট থেকে সুবিধা পায়। ফলে রান করা কঠিন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার পিচ ব্যাটারদের কাছে সহজ হয়ে যায়। এই ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল।”
টস তো অবশ্যই রাতের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করেও তো দল জিতছে। তা হলে কি সব দায় টসের? কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেন পন্থ। তিনি বলেন, “অবশ্য টসের অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা ভাল খেলতে পারিনি। তাই হেরেছি।”
আরও পড়ুন:
তাঁকে ২৭ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ। তিনি দলের অধিনায়ক। যখন এডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান আউট হয়ে গিয়েছেন, তখন তিনি কেন নামলেন না? কেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আয়ুষ বদোনিকে নামালেন? তবে কি নিজের উপরই ভরসা নেই তাঁর? সেই প্রশ্নের জবাবও অন্য ভাবে দিলেন পন্থ। তিনি বলেন, “আমরা সামাদকে আগে নামিয়েছিলাম দ্রুত ইনিংস খেলার জন্য। সেটা কাজে লাগেনি। বদোনিকেও সেই কারণেই নামিয়েছিলাম। আসলে আমরা আমাদের সেরা ব্যাটিং অর্ডার খুঁজছিলাম। তাই নিজেকে পরে রেখেছিলাম।”
পন্থের এই জবাবের ব্যাখ্যা কী? তবে কি তিনি বলতে চাইছেন যে ব্যাটিং অর্ডারে তিনি বাকিদের পরে নামার যোগ্য? যেখানে অধিনায়ককে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়, সেখানে তিনি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখলেন। দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর পটেলও চার নম্বরে নামেন। তাঁকে দেখেও কি শিক্ষা হল না পন্থের? যে ভাবে তিনি একের পর এক ম্যাচে ভুল করছেন, তার খেসারত না লখনউকে দিতে হয়। দল যদি প্লে-অফের লড়াই থেকে বেরিয়ে যায়, তখন কিন্তু কোনও অজুহাত দিতে পারবেন না আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ
-
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া! গ্রেফতার করা হতে পারে আরসিবি কর্তাদেরও