সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে নিয়োগের কাউন্সেলিং চলছে। প্রত্যেক দিন গড়ে প্রত্যাখ্যান এবং অনুপস্থিতির হার ২৫ শতাংশ। এই হার যত বাড়ছে, ততই ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু কবে থেকে শুরু হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ?
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে। তবে, তার আগে ভাল ভাবে হিসাব করে নিতে হবে কত শূন্য আসন রয়েছে। এসএসসি-র এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ডাকার আগে শূন্য পদের সংখ্যা হিসাব করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক জন প্রার্থী চার জায়গায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। কেউ কাউন্সেলিংয়ে এসে নিয়োগপত্র গ্রহণ করলেও তাঁর হয়তো আরও তিন জায়গায় নাম রয়েছে। ফলে সেই সব হিসেব দ্বিতীয় বার খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। ধরা যাক— কোনও মহিলা প্রার্থীর তফসিলি জাতির তালিকা-সহ অন্যান্য বিভাগগুলিতেও নিজের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। কিন্তু তিনি চাকরি নিলেন জেনারেল বিভাগের তালিকায়। তখন, বাকি তিন জায়গা থেকে ওই মহিলা প্রার্থীর নাম বাতিল করতে হবে এসএসসি-কে। একই যুক্তি খাটে পুরুষদর ক্ষেত্রেও। তাই সব খুঁটিনাটি হিসাব করেই কাউন্সেলিং শুরু করা হবে।
১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে কাউন্সেলিং, চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। ৮০৯১ জনের কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। শনিবার, ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৩৫২ জনের কাউন্সেলিং সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে অনুপস্থিত এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা ১৫৯৮। তবে পাশাপাশি, স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে যোগদান করছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। সে রকমই অপেক্ষার অবসান হল প্রিয়াঙ্কা মহালির।
দীর্ঘ ন’বছর গৃহশিক্ষিকা থাকার পরে এ বার তকমা পেলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ২০১১-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর যোগ্যতা অর্জন করেন। এর পরে শিক্ষকতার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) অধীনে উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির জন্য নাম নথিভুক্ত করেন তিনি। পাশও করেন। তবে, যোগ্য হয়েও দুর্নীতির বেড়াজালে পিছিয়ে পড়েছিলেন মেধাতালিকায়। দু’বারে ইন্টারভিউ হয়। কিন্তু, আইনি জটিলতায় পিছিয়ে যায় নিয়োগ। চাকরি হয়নি তাঁর। এর পর থেকেই গ্রাস করতে থাকে হতাশা এবং মানসিক অবসাদ। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘‘এমন দিন গিয়েছে, রাতে ঘুমের ঘোরে কেঁদেছি। ঝড়-জল-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রাস্তায় আন্দোলনে শামিল হয়েছি। অবশেষে কাজে যুক্ত হতে পেরে আনন্দও হচ্ছে। তবে পাশাপাশি মনও বেশ ভারাক্রান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy