পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েই সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সমাজ মাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ লিখলেন, ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ মোকাবিলা করবে আমেরিকা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করার পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতের নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “আমাদের পূর্ণ সমর্থন ও সহমর্মিতা আছে।” তাঁর কথায়, “আমাদের হৃদয় তোমাদের সঙ্গে।” শুধু সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া লিখেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। ফোন করেছিলেন মোদী কেও।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার খবর পেয়েই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কিছু ক্ষণ পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সে কথা জানিয়েছেন। ফোনে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকার প্রেস সচিব ক্যারোলিন ল্যাভিট আগেই জানিয়েছিলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি জানিয়েছিলেন, “ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।” সূত্রের খবর, তার কিছু ক্ষণ পরেই দুই দেশের প্রধানের মধ্যে কথোপকথন হয়। ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ‘বাছাই’ করা পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সেই সঙ্গে, সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন ট্রাম্প।
রণধীরের লেখা এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত ও আমেরিকা যৌথ ভাবে জঙ্গিহানার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
হত্যালীলার খবর পেয়ে আরব সফরের মাঝপথেই সরাসরি জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছেন মোদী। ইতিমধ্যেই পাক জঙ্গিহানার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, বর্তমানে ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। সেই সময়েই পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এই পরিস্থিতেই ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিলেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘চার-পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল’, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এ বার নতুন দাবি করলেন ট্রাম্প
-
ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনা ছিল কি? সংঘর্ষবিরতির ৬৩ দিন পরে কী উত্তর দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী
-
পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে সিন্ধুর উপনদে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ চাইল ভারত
-
‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’! ভারতের ব্রহ্মস হানা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
-
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ‘কোপ’ পড়েছিল, সেই সব পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রামের উপর থেকে সরছে নিষেধাজ্ঞা