সংগৃহীত চিত্র।
জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ) বাৎসরিক সঞ্চয়ের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল অর্থ দফতর। বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন রাজ্যের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। এমনই নির্দেশিকা দিল রাজ্য সরকার।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এতদিন কোনও কর্মী চাইলে জিপিএফে তাঁর মূলবেতনের (বেসিক) সমপরিমাণ অর্থ জমা করতে পারতেন। এ বার পাঁচ লক্ষ টাকার উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় কারও কারও ক্ষেত্রে আগের নিয়ম কার্যকর করা সম্ভব হবে না। রাজ্যে জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শিক্ষক কর্মচারীদের ,জিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু একটা বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্দেশ দিতে হয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যে ২০২০-সালে বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর এত দিন পরে নির্দেশ কেন? তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সব সুপারিশ কি রাজ্য মানতে বাধ্য!”
সঞ্চয়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া শুধু নয়। পাশাপাশি অর্থ দফতরের দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁদের ইতিপূর্বেই পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ জিপিএফে জমা পড়েছে, তাঁদের সঞ্চয়ের জন্য মাসিক যে অর্থ কাটা হয় জিপিএফের ক্ষেত্রে তা নিতে বারণ করা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও হতাশ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধানশিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, “ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকারি খাতে সঞ্চয় করা হয়ে থাকে। তার ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলির রমরমা বৃদ্ধি পাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy