বিয়াল্লিশ বছর আগের অ্যালবার্টের সঙ্গে এই শুভাপ্রসন্নের কি মিল আছে? শুভাপ্রসন্নেরও কি রাগের অভিমুখ ঘুরে গিয়েছে? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুভা’দা, শুভাপ্রসন্নকে আমার খুব ভাল লাগে। শ্মশ্রুগুম্ফ সমন্বিত সৌম্যকান্তি। স্পষ্ট করে, কেটে কেটে কথা বলেন। এবং কখনওই নিজের বক্তব্য নিয়ে নিজের এবং শ্রোতার মধ্যে কোনও আঁটবাঁধ রাখেন না।
১৯৪৭ সালে জন্ম। স্বাধীনতার চেয়ে মাস দুয়েকের ছোট। ইন্ডিয়ান কলেজ অফ আর্টস থেকে ফাইন আর্টসে গ্র্যাজুয়েট। ভারত-সহ গোটা পৃথিবীতে তাঁর ছবির ৫৫টি একক প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় সাত হাজার ছবি এঁকেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ শুভাপ্রসন্নের কাছে ছবি আঁকা শিখেছিলেন। শিল্পী নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বনাথপ্রতাপকে চারকোলের কিছু কাজ শিখিয়েছিলেন। প্রায় একই নিঃশ্বাসে বলেছিলেন, ‘‘আমার আঁকা ছবির চেয়েও ওঁর আঁকা ছবি বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। সেটাই স্বাভাবিক।’’
ছবি একেবারেই বুঝি না। কিন্তু বোদ্ধাদের কাছে শুনেছি, শুভাপ্রসন্নের ছবি নগরজীবন এবং পরিবেশের সঙ্গে ব্যক্তিযাপনের মিশেল। সেই জীবন তার দৈনিক রোগজর্জরতা, খারাপত্ব, হিংসা এবং তার দৌর্বল্য নিয়ে ধরা দেয় শুভাপ্রসন্নের ছবিতে। ষাট এবং সত্তরের দশকে কলকাতা শহরের রাজনৈতিক হিংসা এবং অস্থিরতা শুভাপ্রসন্নের কাজে তার পদচিহ্ন রেখেছে। আর শুভাপ্রসন্নের আঁকা কাক! দুষ্টু লোকেরা যতই বলুন, ‘‘উনি তো শুধু কাকই আঁকেন’’, শুভাপ্রসন্নের কাক কিন্তু ছবির জগতে ‘এলিট’। ভঙ্গকুলীন। সম্ভ্রমভরে তাকে ‘বায়স’ বলাই শ্রেয়।
নিয়মিত যোগাযোগ আছে বললে অসত্য হবে। তবে শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে মাঝেমধ্যে এ দিকে-সে দিকে দেখা হয়ে যায়। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনের নৈশভোজে, কখনও রাজ্য সরকারের আহূত বিজয়া সম্মিলনীতে, কখনও অন্য কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, সম্ভবত দু’এক বার শুভাপ্রসন্নের ‘আর্টস একর’-এ (জায়গাটা একটু একটেরে এলাকায়। নাম হাতিশালা। কিন্তু অসাধারণ। ছোটবেলার ফিচেল ফর্মে থাকলে বলতাম, খেয়ে না-খেয়ে বানিয়েছেন বটে একখানা!) কোনও আলোচনা সভা বা ওই ধরনের কোনও জাম্বুরিতে।
ওহ্, শুভাপ্রসন্নের কন্যার বিবাহেও গিয়েছিলাম। বাইপাসের ধারের এক মনোরম উদ্যানে মনোরমতর সন্ধ্যায় সেই বিবাহবাসর ছিল মনোজ্ঞ, রুচিশীল এবং এলাহি। মনে হয়েছিল, শুভাপ্রসন্ন দুর্দান্ত হোস্টও বটে।
তবে শিল্পসঞ্জাত বৈভব যতই থাক, সাধারণ সুতির পাঞ্জাবি আর গাঢ় কোনও রঙের ট্রাউজার্স ছাড়া শুভাপ্রসন্নকে সর্বসমক্ষে কিছু পরতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। নাহ্, ভুল লিখলাম। এক বার দেখেছিলাম। ডেরেক ও’ব্রায়েনের দক্ষিণ কলকাতায় বাড়িতে ২০০৮ সালে বড়দিনের সন্ধ্যায় শুভাপ্রসন্নকে সান্তা ক্লজ় সাজানো হয়েছিল। শুভাপ্রসন্নও ‘স্পোর্টিংলি’ রাজি হয়েছিলেন। গৃহস্বামী এত বছর পরেও মনে করতে পারেন, সান্তা সাজতে হবে বলে শুভাপ্রসন্ন একটু আগে চলেও এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে।
স্বীকার করি, শুভাপ্রসন্নকে মানিয়েছিল ভাল (জয় ‘বেণীমাধব’ গোস্বামী মার্জনা করবেন)। আগায় পুঁচকে পমপম-ঝোলানো সান্তা টুপি, পরনে সান্তার লাল-সাদা (নীল-সাদা হলে কি বেশি খুশি হতেন? কে জানে) পোশাক, কাঁধে ঝোলা। সাদা দাড়ি আর মুচকি হাসিতে শুভাপ্রসন্ন, যাকে বলে একেবারে ফুলটু সান্তা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও বিরোধী নেত্রী। কিন্তু তাঁকে ঘিরে অবয়ব পাচ্ছে ‘পরিবর্তন’-এর প্রতিমা। সেই প্রতিমার সাজসজ্জায় রং-তুলি হাতে নেমে পড়েছেন শুভাপ্রসন্নও। সেই সময়ে মমতা বিশিষ্টজনেদের নিয়ে যে বৈঠক করতেন, তার কিছু কিছু হত শুভাপ্রসন্নের সল্টলেকের বাড়িতে (ওই যে, দুর্দান্ত হোস্ট)। ফলে মমতার সঙ্গে শুভাপ্রসন্নের একটা নৈকট্য তৈরি হচ্ছিল। একটা সময়ে কলকাতা এবং শহরতলিতে ছেয়ে-যাওয়া ‘পরিবর্তন’-এর হোর্ডিংয়েও অন্য বিশিষ্টদের সঙ্গে জ্বলজ্বল করত শুভাপ্রসন্নের মুখ।
বস্তুত, কালীঘাটের টালির চালের ঘরের বাসিন্দার দুর্মর রাজনৈতিক ধীশক্তি, ভোট সম্পর্কে প্রখর অনুমানক্ষমতা এবং দাঁত কামড়ে পড়ে থাকার মানসিকতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান এবং ধারণারহিত কলকাতার যে এলিট সমাজ মমতাকে ‘দুচ্ছাই’ করত, একটা সময়ে শুভাপ্রসন্নও তার সদস্য ছিলেন। কিন্তু সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় থেকে তিনি ঘুরে গেলেন। তখন মমতা তাঁর কাছে ‘ফোর্স অফ ডেমোক্র্যাসি’।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে— ২০০৯ সালে মমতা রেলমন্ত্রী হওয়ার পর রেলের একটি সংস্কৃতিমূলক কমিটির চেয়ারম্যান হন শুভাপ্রসন্ন। জনশ্রুতি: তাঁর মাসিক বেতন ছিল আট হাজার টাকা। যদিও শুভাপ্রসন্ন বলেন, পুরোটাই ‘সাম্মানিক’। ‘সম্মানদক্ষিণা’-র কোনও ব্যাপার ছিল না।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে— ২০১০ সালে বাংলা যখন ‘পরিবর্তন’-এর পথে অনেক কদম এগিয়ে গিয়েছে, তখন নিজের চ্যানেল তৈরি করে সেই ভাবনাকে রূপ দেওয়ার কাজ করতে চেয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন। যার নাম, যত দূর মনে করতে পারি, দেওয়া হয়েছিল ‘এখন সময়’। বিভিন্ন ঘণ্ট পেকে সে চ্যানেল আর দিনের আলোর মুখ দেখেনি। নিন্দকেরা বলছিলেন, মমতা নাকি তখন শিল্পীর উপর খুব একটা প্রসন্ন ছিলেন না। কিন্তু শুভাপ্রসন্নকে শোল্ডার ড্যাশে কেউ মমতার বৃত্ত থেকে পুরোপুরি ছিটকে দিতে পারেননি।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে— মমতার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে কলকাতার টাউন হল-এ তাঁর আঁকা ছবির একটি প্রদর্শনী হয়েছিল। সেই প্রদর্শনীতে শুভাপ্রসন্নের সঙ্গেই হাজির ছিলেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী। যাঁরা একযোগে মমতার আঁকা ছবির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির তুলনা করেছিলেন। কারণ, রবীন্দ্রনাথ এবং মমতা, দু’জনেই কখনও প্রথাগত অঙ্কনের প্রশিক্ষণ নেননি (ঘটনাচক্রে, যোগেন পরে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যান)। শুভাপ্রসন্ন (তত দিনে তিনি হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত) বলেছিলেন, ‘‘সারা দিন এত ঝুটঝামেলা সামলেও মমতার ছবি কত জীবন্ত! রবীন্দ্রনাথের লেখা জীবন্ত ছিল। কিন্তু তাঁর ছবি ডার্ক ছিল।’’
কালের নিয়মে পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে বিশিষ্টজনেদের অবস্থান উচ্চাবচ হয়েছে। সারদাকাণ্ডে শুভাপ্রসন্নকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে মমতার সঙ্গে শুভাপ্রসন্নের সম্পর্ক মোটামুটি মসৃণই থেকেছে। অন্তত আপাতদৃষ্টিতে।
কিন্তু তা হলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবীণ চিত্রকর হঠাৎ বাংলা ভাষায় ‘দাওয়াত’, ‘পানি’ শব্দের অনুপ্রবেশ নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা পাড়লেন কেন? তিনি বরাবরই এই অনুষ্ঠানটিতে থাকেন। অতীতেও থেকেছেন। এ বারেও ছিলেন। তফাত হল, অতীতে কখনও তাঁর বক্তব্যকে মমতা এ ভাবে খণ্ডন করেননি। দ্বিতীয়ত, মমতা স্বয়ং মঞ্চ থেকে তাঁর কথা খণ্ডন করলেও শুভাপ্রসন্ন কেন পরেও তাঁর আগের বক্তব্যেই অনড় থাকলেন? শুধু যে অনড় এবং অটল থাকলেন, তা-ই নয়, সটান বললেন, মমতার ‘রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে। টেনে আনলেন ‘মুসলিম তোষণ’-এর মতো প্রসঙ্গও।
কেন? শুভাপ্রসন্নের কেন হঠাৎ এত রাগ হল? শুভাপ্রসন্ন কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়?
নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত এবং সইদ আখতার মির্জ়া পরিচালিত ১৯৮০ সালের ক্লাসিক ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়’ মনে পড়ে যাচ্ছিল। ওম পুরী, শাবানা আজ়মি, স্মিতা পাটিলরাও ছিলেন ছবিতে। ছবির গল্প বলে, অ্যালবার্ট পিন্টো তৎকালীন বম্বের বাসিন্দা। পেশায় মোটর মেকানিক অ্যালবার্ট এই বিশ্বাস নিয়ে বাঁচে যে, কঠোর পরিশ্রম করলে এবং বড়লোকদের অনুকরণ করলে সে-ও একদিন সফল মানুষ বলে সমাজে পরিচিত হবে। ফলে সে তার গ্যারাজে গাড়ি সারাতে আসা বড়লোকদের সঙ্গে ভাব জমায়। যারা তাকে বলে, ভাল শ্রমিকেরা কখনও ধর্মঘট করে না। ও সব সমাজের কিছু নিচুতলার লোকেদের কাজ। তারাই শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে ধর্মঘট করায়। অ্যালবার্ট যে কোনও ছুতোনাতায় ধর্মঘট ডেকে দেওয়া শ্রমিকদের উপর রুষ্ট হয়। কিন্তু যখন তার মিল মজদুর বাবাকে মিল মালিকদের ভাড়া করা ওই নিচুতলার মস্তানরাই গুছিয়ে গাল দেয়, তখন পিন্টো বুঝতে পারে, শ্রমিকেরা নয়, রাগ করা উচিত মিল মালিক আর পুঁজিপতিদের উপর।
১১০ মিনিটের ছবির শেষেও অ্যালবার্ট ক্রুদ্ধই থাকে। তার তখনও ‘গুস্সা’ হয়। কিন্তু রাগের অভিমুখ ঘুরে যায়। শ্রমিক শ্রেণি নয়, তার রাগ হয় পুঁজিপতিদের উপর।
বিয়াল্লিশ বছর আগের সেই অ্যালবার্টের সঙ্গে এই শুভাপ্রসন্নের কি মিল আছে? শুভাপ্রসন্নেরও কি রাগের অভিমুখ ঘুরে গিয়েছে? কেন? তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য অনুযায়ী ‘কিছু কমিটি, কিছু জমি’ দিয়ে দিলেই কি দীর্ঘ ১১ বছর পরে হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শুভাপ্রসন্ন শান্ত হবেন? না কি তিনি বেড়ার উল্টো দিকে কোনও সঙ্কেত পাঠাতে চাইছেন? যে সঙ্কেত খপ করে লুফে নিয়ে তাঁকে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসেছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল?
মোদ্দা কথা— শুভাপ্রসন্ন কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়? কূট প্রশ্ন। অতএব লিখতে বসার আগে সটান শুভাপ্রসন্নকেই ফোন করলাম। বেজে গেল। কিছু ক্ষণ পর শুভাপ্রসন্ন ফোন করলেন। অতঃপর যা কথোপকথন হল— শুভা’দা, কেমন আছেন?
শুভাপ্রসন্ন: (তাঁর অননুকরণীয় ভঙ্গি এবং চিরপরিচিত কিঞ্চিৎ ধারালো কণ্ঠে) ‘‘আমি খুব ভাল আছি।’’
আপনি তো এখন রোজ খবরে! কী সব বলেছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে?
‘‘আমি তো চিরকালই কিছু না কিছু বলি। কারও সেটা ভাল লাগে। কারও খারাপ লাগে। খারাপ লাগলে সমালোচনা করে!’’
হাতে পাঁজি মঙ্গলবার নিয়ে প্রশ্ন করে ফেললাম, আপনি সব সময় এত রেগে থাকেন কেন বলুন তো? আপনাকে যখনই দেখি, মনে হয় খুব রেগে আছেন! বলতে বলতে মনে পড়ল, বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের নৈশভোজের কথা। সেই আসরে ঘটনাটি ঘটার সময় অকুস্থলে ছিলাম না। কিন্তু পরে বেরোনোর সময় দেখা হওয়ায় শুভাপ্রসন্ন নিজেই এগিয়ে এসে বলেছিলেন, ‘‘লোকটাকে খুব দিয়েছি! তুমি কি ওখানে ছিলে তখন?’’ বললাম, নাহ্, ছিলাম না। থাকলে হয়তো আপনাকে বারণই করতাম।
ফ্ল্যাশব্যাকটা চলতে চলতেই ফোনে শুভাপ্রসন্নের গলা ভেসে এল, ‘‘জেনারেলি কখনও রাগ করি না। কিন্তু কেউ যদি চিমটি কাটে, তখন একটু রাগ করি। কিন্তু আমি তো কখনও কাউকে ঘুষি মারিনি! মেরেছি কি? তুমিও তো কত খবর করেছ আমায় নিয়ে চিমটি কেটে। কিছু বলেছি কখনও?’’
ঠিকই। ঘুষি মারেননি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে ‘কাক্বেশ্বর’ হেডিং করে, সুকুমার রায়ের ‘আবোলতাবোল’-এ স্লেট-পেনসিল সমেত বিখ্যাত ছবিতে দাঁড়ে অধিষ্ঠিত কাকের জায়গায় তাঁর মুন্ডু বসিয়ে কার্টুন প্রকাশ করায় বেজায় চটেছিলেন। কিছু দিন পর এক বিজয়া সম্মিলনীতে মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় কালক্ষেপ না করে কিঞ্চিৎ উঁচুপর্দায় উষ্মাও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরে অকুস্থলে কিছু অসংসদীয় এবং অপশব্দের বিনিময়ও হয়েছিল। কিন্তু সে সব কবেই চুকেবুকে গিয়েছে।
আবার প্রশ্ন করা গেল, শুভাপ্রসন্ন কি বিজেপিকে সঙ্কেত পাঠাচ্ছেন?
‘‘প্রাণ দিয়ে এই পার্টিটা করেছি। প্রাণ দিয়ে এই পার্টিকে ক্ষমতায় এনেছি। আমি কি পাগল যে, বিজেপিতে যোগ দেব! আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। মমতা অনেক বার আমায় বলেছেন। কিন্তু রাজি হইনি। আমি ওঁকে বলেছি, আমাদের সম্পর্কটা এই রকম থাকলেই ভাল। আমি ছবি আঁকি। ছবি আঁকাটাই আমার কাজ। আমি সেটাই করে যেতে চাই।’’
অগ্নিমিত্রা তো আপনাকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁদের দলে যোগ দিতে।
‘‘অগ্নিমিত্রা বললে ওর ফ্যাশন শোয়ে হাঁটতে যেতে পারি (অট্টহাস্য)। ওর দলে যোগ দিতে যাব কেন! ওদের পরিবারের সকলকে আমি চিনি। ও বাচ্চা মেয়ে। না-বুঝে রাজনীতিতে চলে এসেছে। যা ভেবে এসেছিল, সেটা এখন আর মিলছে না। ও ওই রকম কত কথা বলে! রাজনীতি না করে ফ্যাশন ডিজ়াইনিংটাই ভাল করে করলে পারত (অগ্নিমিত্রা আর কী কী করতে পারতেন, সে সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণও শুভাপ্রসন্নের ছিল। সেগুলো আর লিখছি না)!’’
কিন্তু হাজার হোক, আপনি তো একটা পাবলিক ফিগার। সর্বসমক্ষে কথা বলার সময় আপনার কি আরও সংযত, আরও সাবধান হওয়া উচিত নয়?
‘‘কে বলল আমি পাবলিক ফিগার? আমি তো পাবলিক ফিগার নই! আমি তো সাজিয়ে-গুছিয়ে, কাউকে বা নিজেকে বাঁচিয়ে কিছু বলতে পারি না। আমি হিপোক্রেসি করতে পারি না। সেই জন্যই তো পাবলিক ফিগার হতে পারলাম না!’’
বোঝা গেল? শুভাপ্রসন্ন কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy