যুগল: ষড়ভুজ চৈতন্য ও নিত্যানন্দ। বিষ্ণুপুর রাজপরিবারে পূজিত প্রাচীন দারুবিগ্রহ
করুণাবতার শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু
গোপাল চন্দ্র পাত্র/ সম্পা: কবিতা প্রধান
৬০০.০০
ঋত প্রকাশন
বিশ্বম্ভরকে অবতার বলে প্রথম স্বীকার করেছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া। মুরারি গুপ্তের মতে, তার পর থেকেই বিশ্বম্ভরের ঈশ্বরাবেশ আরও প্রকট হচ্ছে। তিনি সিংহাসনে চড়ে বসলেন। অভিষেকও হল। অদ্বৈত পুরুষসূক্ত পড়লেন, নিত্যানন্দ ধরলেন ছত্র। কিন্তু সে সবই সন্ন্যাসের আগের ঘটনা। সন্ন্যাসের পরে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গ উঠলে চৈতন্য লজ্জা পেতেন, রেগে যেতেন। একবার বলেছেন, ‘‘যেই মূঢ় কহে জীব ঈশ্বর হয় সম। সেই ত পাষণ্ডী হয়...।’’ কিন্তু নবদ্বীপ-শান্তিপুর সে কথা মানেনি। সন্ন্যাসের পরপরই নীলাচলে বাসুদেব সার্বভৌমের কাছে গোপীনাথ আচার্য চৈতন্যের পরিচয় দিলেন ‘পরম ঈশ্বর’ বলে। প্রবাদপ্রতিম নৈয়ায়িক সার্বভৌম মানতে চাননি— ‘‘অনুমান প্রমাণ নহে ঈশ্বরতত্ত্ব জ্ঞানে।’’ পরে অভিভূত সার্বভৌম চৈতন্যের অজ্ঞাতে তাঁর পরিচয় দিচ্ছেন “তেঁহ ঈশ্বর স্বতন্ত্র। সাক্ষাৎ কৃষ্ণ তেঁহো”। এই ‘ঈশ্বর স্বতন্ত্র’ সম্বোধনটি বৃন্দাবনে বসে লেখা চৈতন্যচরিতামৃতে বারবার মিলছে। চৈতন্য নিজেও সেখানে বলেছেন, ‘ঈশ্বর হয় পরম স্বতন্ত্র।’ চৈতন্যচরিতামৃতে ‘স্বতন্ত্র ঈশ্বর’ ও ‘ভগবান স্বতন্ত্র’ও রয়েছে। ‘স্বতন্ত্র’ শব্দটির মিল সনাতন ‘কাষ্ঠযন্ত্র’ দিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু সার্বভৌম এবং রায় রামানন্দের উক্তিতে দেওয়া হয়েছে ‘নয় পরতন্ত্র’ দিয়ে। এতে একটি সর্বব্যাপক ও স্বাধীন অস্তিত্বের চিন্তাশৃঙ্খলা নির্মাণ করা হয়। যাঁদের সঙ্গে চৈতন্যের নীলাচলে যাওয়ার পরে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তাঁদের যে সেই শৃঙ্খলা বেশ প্রিয় ছিল, তা বোঝা যায়, অনেক পরে লেখা ‘ভক্তিরত্নাকর’-এ নবদ্বীপের মিশ্র পরিবারের পরিচারক ঈশানের কথা থেকেও। গ্রন্থকার নরহরি চক্রবর্তী বৃন্দাবনের লোক। তার উপরে যে হেতু শ্রীনিবাস সদ্য বৃন্দাবন থেকে ফিরেছেন, তাই তাঁর কাছে ঈশান পর্যন্ত প্রিয় বিশ্বম্ভরকে ‘স্বতন্ত্র ঈশ্বর’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন।
কিন্তু বাংলা তাঁকে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছে। সন্ন্যাসের আগে নবদ্বীপে বিশ্বম্ভরের নাম যখন ছড়িয়ে পড়ে, পরে লেখা ‘গৌরপদতরঙ্গিণী’-র একটি পদে রয়েছে, নিত্যানন্দ তখন ‘সাঙাত’-কে দেখতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বৃন্দাবনে বসে কৃষ্ণদাসও বলেছেন, “শ্রীচৈতন্য সেই কৃষ্ণ নিত্যানন্দ রাম।” এই ‘রাম’ বলরাম। তবে অযোধ্যাপতি রামের একটি শৃঙ্খলাও তৈরি হয় চরিতকাব্যে। রামের প্রভাব যেখানে, সেখানে চৈতন্যের ষড়ভুজ মূর্তি দেখছেন ভক্তরা, যার দু’টি হাত দাশরথির। নিত্যানন্দ বিশ্বম্ভরের সেই রূপ দেখেছেন। সার্বভৌমও দেখেছেন বলে কৃষ্ণদাসও মনে করেছেন, কিন্তু চৈতন্য শাখার কবিকর্ণপুরের মহাকাব্যে সার্বভৌম চতুর্ভুজ মূর্তিই দেখেন, তাতে রাম নেই। মনে রাখা দরকার, নিত্যানন্দ অযোধ্যা গিয়েছিলেন। চৈতন্য যাননি। তবে তিনি সেতুবন্ধে গিয়েছিলেন। আর কৃষ্ণদাসের ধারণা, নিত্যানন্দ ছিলেন এক জন্মে লক্ষ্মণ, আর এক জন্মে বলরাম— যাঁরা রাম ও কৃষ্ণের তাত্ত্বিক অংশভাক হলেও সাহিত্যে স্বাধীন চরিত্র, যাঁরা দুই মহাকাব্যে রাম ও কৃষ্ণের বিরোধিতা কখনও কখনও করেছেন।
নিত্যানন্দও বাংলা সাহিত্যে তেমনই এক চরিত্র হয়ে ওঠেন। অনেকের বিশ্বাস, প্রথম চৈতন্যমূর্তি তৈরি করিয়েছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় মূর্তিটি থেকেই গৌরনিতাইয়ের যুগল বিগ্রহের কথা উঠছে। ‘ভক্তিরত্নাকর’-এ ঈশান শ্রীনিবাসকে গৌরীদাসের তৈরি যে গৌরনিতাই মূর্তির কথা বলছেন, তার কাঠ নেওয়া হয়েছিল বিশ্বম্ভরের বাড়ির নিমগাছ থেকেই। পরে ফাল্গুন পৌর্ণমাসীতে গৌরীদাসের দাদা সূর্যদাসের কন্যা, নিত্যানন্দের স্ত্রী জাহ্নবার উপস্থিতিতে শ্রীনিবাস খেতরিতে যে ছয় বিগ্রহের অভিষেক করেন, তাঁরা হলেন গৌরাঙ্গ, বল্লবীকান্ত, ব্রজমোহন, কৃষ্ণ, রাধাকান্ত ও রাধারমণ। সেখানে ছিলেন নিত্যানন্দের কৃপাধন্য নরোত্তমও। আবার ‘পদকল্পতরু’-তে গৌরীদাসের একটি বিখ্যাত পদে রয়েছে, নিত্যানন্দ রাজা। বিশ্বম্ভর, অদ্বৈত, গদাধর হাটের পসারিয়া। তবে ‘ভক্তিচন্দ্রিকাপটল’-এ গৌরাঙ্গ পূজাবিধিতে চৈতন্য একা, তাঁর দু’পাশে আপ্লুত বাসুদেব দত্ত ও শিবানন্দ সেন। ষটকোণের বহির্ভাগে নিত্যানন্দ, অদ্বৈতাদি।
বিশ্বম্ভর-চৈতন্যের সঙ্গে নিত্যানন্দের সম্পর্ক তাই ভক্ত-কবিদের চিন্তায় বার বার বদলেছে। চৈতন্যচরিতগুলিতে নিত্যানন্দের বড় অংশ থাকলেও, তাঁর আলাদা জীবনী কিন্তু তেমন ভাবে রচিত হয়নি। স্বয়ং সুকুমার সেনের তত্ত্বাবধানে ১৯৭৫ সালে নিত্যানন্দের জীবন নিয়ে সেই গবেষণার পরেও তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেননি গোপালচন্দ্র পাত্র। তাঁর প্রয়াণের পরে গ্রন্থপ্রকাশে উদ্যোগী হন তাঁর কন্যা কবিতা প্রধান। কবিতাকে সহায়তা করেছেন সুচেতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রন্থটি নিত্যানন্দ সম্পর্কে তথ্যের আকর।
প্রথম দুই অধ্যায়ে নিত্যানন্দের জন্ম, পরিবার, বিশ্বম্ভরের সঙ্গে বিখ্যাত পত্রালাপ, সাক্ষাৎ, তীর্থ পর্যটনের রীতিমতো খুঁটিনাটি এবং নবদ্বীপবাসের বিবরণ। নানা তর্ক রয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। গোপালবাবু চেষ্টা করেছেন, সব পক্ষেই তথ্য দিতে। তবে এর পরে চৈতন্যের নীলাচলযাত্রা। আর সেখানেই নিত্যানন্দজীবনীকারের বড় পরীক্ষা। চৈতন্যের দণ্ড নিত্যানন্দ ভাঙলেন কমলপুরে। আঠারনালায় গিয়ে সেই দণ্ডের খোঁজ করলেন চৈতন্য। তখন নিত্যানন্দ নবদ্বীপ-শান্তিপুরের যে বিশ্বম্ভর-চৈতন্যকে দেখেছেন, তাঁর স্মৃতিকেই অস্ত্র করে একটি কাহিনি বললেন। এটি একটি সাহিত্য প্রকরণ। চৈতন্যও সম্ভবত তা অনুমান করেছিলেন। যাত্রাপথে একা হয়ে গেলেন। সেই বুঝি তাঁর ‘পরম ঈশ্বর’ থেকে ‘ঈশ্বর স্বতন্ত্র’ হওয়ার পথে যাত্রা শুরু।
নিত্যানন্দের কথাতেই বৃন্দাবনদাস চৈতন্যচরিত লেখেন। তিনিই জানাচ্ছেন, নিত্যানন্দকে চৈতন্য বার বার পুরী যেতে নিষেধ করেছিলেন। আর কৃষ্ণদাসও লিখছেন, নিত্যানন্দ ‘‘তাঁর আজ্ঞা ভাঙ্গে তাঁর সঙ্গের কারণে।’’ ১৫১৪ সালে রথের আগে আগে নিত্যানন্দ আবার নীলাচলে গিয়ে একা বসেছিলেন। চৈতন্যই সেখানে গেলেন। কিন্তু “ঈশ্বরে পরমেশ্বরে হইল কী কথা...” তা কেউ জানলেন না। ‘চৈতন্যভাগবত’-এ চৈতন্য সেখানে নিত্যানন্দকে ‘ঈশ্বর অনন্ত’ বলে সম্বোধন করছেন। বৃন্দাবনদাসের বক্তব্য, “নিত্যানন্দ চৈতন্যে যখন দেখা হয়। প্রায় আর কেহ নাহি থাকে সেসময়।।” কেন? বৃন্দাবনদাস চৈতন্যকেই দায়ী করছেন— “চৈতন্যের ইচ্ছায় কেহ না থাকে তখনে।।” কৃষ্ণদাসও লিখছেন, একবার “কিবা যুক্তি কৈল দোঁহে কেহ নাহি জানে” এবং ‘‘কিবা যুক্তি করে নিত্য নিভৃতে বসিয়া।’’ কিন্তু কী কথা হত, তার নানা “অনুমান পাছে করিল ভক্তগণে।” এই অনুমানের দু’টো পথ। এক, চৈতন্য নিজে কোন চরিতকাব্যে কখন কী করছেন, অন্যদের কী বলছেন, নতুন কোন শৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছেন, তা দেখে দেখে এগোনো। আর একটি হল, নিত্যানন্দকে তিনি যা যা বলেছেন বলে লেখা হয়েছে, নিভৃতে সে সবই আবার বলেছেন এমনটাই ধরে নেওয়া। নিত্যানন্দভক্তেরা দ্বিতীয় পথটি নিয়েছেন। আর সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, চৈতন্য নিত্যানন্দকে বলছেন, “তুমিও থাকিলা যদি মুনিধর্ম করি। আপন উদ্দাম ভাব সব পরিহরি।। তবে মূর্খ নীচ যত পতিত সংসার। বোল দেখি আর কেবা করিবা উদ্ধার।।” তাই চৈতন্যই নিত্যানন্দকে বিবাহের আদেশ দিয়েছিলেন, এমন মতও প্রচলিত। মনে করা হয়, অলঙ্কার ধারণ নিয়ে ভক্তদের চাঞ্চল্যের পরে তার ব্যাখ্যাও নিত্যানন্দ চৈতন্যকে সন্তোষজনক ভাবে দিতে পেরেছিলেন। গোপালবাবুও এই সিদ্ধান্তই মেনেছেন। তবু প্রশ্ন যে মেটেনি, তা গোপালবাবুও উল্লেখ করেছেন। জাহ্নবাশিষ্য নিত্যানন্দদাসের ‘প্রেমবিলাস’-এ পর্যন্ত নিত্যানন্দের বিবাহের সমালোচনা রয়েছে। এমনকি, নিত্যানন্দ-বিরোধীদের উদ্দেশে বৃন্দাবনকেও লিখতে হয়েছে, ‘‘এত পরিহারেও যে পাপী নিন্দা করে। তবে লাথি মারোঁ তার শিরের উপরে।।’’
দূরে নীলাচলে চৈতন্য তখন ভাষার ক্ষেত্রে সম্ভবত মত পরিবর্তন করছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ প্রভাবে যে কাব্য-স্মৃতি তার পরে রচিত হয়, তার ভাষা সংস্কৃত। সারা ভারতের কথা ভাবছেন। সেখানে কৃষ্ণদাসের কাব্যে সনাতনকে চৈতন্য বলেছেন, ‘‘বহু শিষ্য না করিবে। বহুগ্রন্থকলাভ্যাস ব্যাখ্যান বর্জিবে।।’’ একই সঙ্গে আরও যেন অন্তর্মুখীও হয়ে উঠছেন।
কিন্তু নবদ্বীপ চৈতন্যের চেয়ে বিশ্বম্ভরকেই যেন বেশি আঁকড়ে রেখেছিল। আর সেখানে দক্ষিণবঙ্গে বিকল্প বিশ্বম্ভরই যেন হয়ে উঠছিলেন নিত্যানন্দ। বাংলায় গৌরহরি কীর্তনে আকাশ মথিত করলেন। পদাবলি উজ্জ্বল হল তাঁরও প্রভাবে। তাঁরও অভিষেক হল। তাঁর ঈশ্বরাবেশ আরও প্রকট হল। তাঁর দ্বাদশ গোপালে দু’জন বৈদ্য, একজন বৈশ্য। নিত্যানন্দ ‘গেলা বৌদ্ধের ভবনে’ও। জাতের বিচার করা হল না তাঁর দধিচিড়া ভোজে। রেমুনায় ক্ষীরভাগ করা থেকেই সম্ভবত যে চিন্তার সূচনা।
পরে তাই বুঝি মনোহরশাহি কীর্তনে লেখা হল, ‘‘গৌর দিলি দিতি পারে একলা নিতাই।’’ সেই বুঝি কারণ, চৈতন্যের মত থাক বা না থাক, বিগ্রহপুজোও শুরু করলেন নিত্যানন্দ। সনিত্যানন্দ ঊর্ধ্ববাহু গৌরের বিগ্রহের রূপও অনেক বেশি করে বিশ্বম্ভরের। কিছু দিন পরে যে চৈতন্যকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর পরনে তো কেবল কৌপীন, ‘তদুপরি বহির্বস্ত্রমরুণং’ বা অরুণ রঙের বহির্বস্ত্র। আর রূপ সাক্ষী, জল খাওয়ার জন্য একটি নারকোলের খোল বাঁধা থাকত কোমরে। বিষ্ণুপ্রিয়ার বিগ্রহটিও বাঙালি ঘরের ধুতি পরা মূর্তিই হলেও, তার হাত দু’টি সম্ভবত সামনে প্রসারিত ছিল। এখন নবদ্বীপে বিষ্ণুপ্রিয়াসেবিত বিগ্রহটি তেমনই। গোড়ার দিকে হাত নীচে রাখা রূপই কল্পনা করা হয়েছিল। কালনার মূর্তিটিরও হাত নীচে। পরে ঊর্ধ্ববাহু রূপটি ছবি ও মূর্তিতে বিখ্যাত হয়ে যায়।
সাহিত্য প্রকরণের প্রতি অনুরাগী নিত্যানন্দ নিজেও সাহিত্যের চরিত্র হয়ে উঠছিলেন। জাহ্নবা ও বীরভদ্রও। তাতেই আরও কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়েন নিত্যানন্দের জীবনীকার। চৈতন্যের শেষ জীবনে নিত্যানন্দের সঙ্গে আর কথা হচ্ছে কি না, তার তেমন খোঁজ মিলছে না। আর বাংলায় নিত্যানন্দের বিরোধিতার পাশাপাশি পানিহাটি, আড়িয়াদহ, খড়দহ থেকে তখন ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর পুজোও। জাহ্নবা ও বীরভদ্রও পূজ্য। এক সময় এমনকি লেখা হল, স্বয়ং বৃন্দাবনের “গোপীনাথ জাহ্নবার বস্ত্র আকর্ষিয়া। বসাইলা আপনার বামপার্শ্বে লইয়া।।” আবার ‘প্রেমবিলাস’ মতে, জাহ্নবাই মদনমোহনের পাশে রাধা বিগ্রহ স্থাপন করেছিলেন।
ভক্তি ও কাহিনির এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতক জোড়া বাংলা সাহিত্যে। গোপালবাবু তার তথ্য যথা সম্ভব একত্র করেছেন। এই জন্যই তিনি চৈতন্য ও নিত্যানন্দ গবেষকদের কাছে পরম ধন্যবাদার্হ হয়ে থাকবেন। তাঁর দেওয়া এই সম্ভার ধরে এ বার এগোনোর দায়িত্ব পরবর্তী গবেষকদের।
অলখ মুখোপাধ্যায়
ছবি: দীপঙ্কর ঘোষ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy