দিনের শুরু হয়েছিল হুমকি ও পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে। সময় গড়াতে তা-ই বদলে গেল পুরোদস্তুর শুল্ক যুদ্ধে।
গত শুক্রবার ২০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। চিন থেকে আমদানি করা আরও ৩২,৫০০ কোটির পণ্যে ২৫% কর বসানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে আজ ৬,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়াল বেজিং। জানাল, সেই হার হবে ২৫%, ২০% ও ১০%। তবে ৫% শুল্কে বদল হবে না। ফলে নভেম্বর থেকে বন্ধ থাকা বাণিজ্য যুদ্ধ ফের শুরু হল।
সোমবারই সরাসরি চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প বলেন, বেজিং যেন পাল্টা মার্কিন পণ্যে কর না-বসায়। তা করলে ফল ভাল হবে না। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, এখন চুক্তি না-করলে সংস্থাগুলি চিন থেকে ব্যবসা অন্য জায়গায় সরাতে বাধ্য হবে। প্রসঙ্গত, ২০০টি সংস্থা চিন থেকে কারখানা ভারতে সরাতে চায় বলে খবর।
এর পরেই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শিয়াং বলেন, শুল্ক বাড়ানো সমস্যার সমাধান নয়। নিজেদের ক্ষমতা ও স্বার্থ রক্ষা করতে চিন বদ্ধপরিকর। বাইরের চাপের কাছে কোনও ভাবেই চিন মাথা নোয়াবে না। সেই সূত্র ধরেই আজ সন্ধ্যায় মার্কিন পণ্যে ওই শুল্ক বাড়াল তারা।
এর আগে ট্রাম্পের দাবি ছিল, এটাই বাণিজ্য চুক্তির ভাল সময়। চিন নতুন করে আলোচনার চেষ্টা করেছে। ২০২০ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে। যাতে পরের বছর ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেন বা অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন। কিন্তু তিনিই ক্ষমতায় ফিরবেন বলে দাবি করে তাঁর হুমকি, তা হলে চিনের পক্ষে নতুন করে চুক্তি করা আরও কঠিন হবে।
বেজিংয়ের যদিও দাবি, শুল্ক বাড়ানো সমস্যার সমাধান নয়। আশা, দু’পক্ষের ভালর জন্যই আমেরিকা চিনের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কথা বলবে।
এ দিকে মার্কিন অর্থনীতির জন্য শুল্ক যুদ্ধ ভাল বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও হোয়াইট হাউসের আর্থিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলোর মতে, এই যুদ্ধে দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিনের উপরে শুল্ক বসালে আসলে তা মার্কিন আমদানিকারী সংস্থাগুলিকেই দিতে হয় বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy