—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে এখন তিনটি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (আরআরবি)। আগামী দিনে যেগুলি মিশে একটি হতে চলেছে। সংযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমানোর চতুর্থ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। লক্ষ্য, ‘এক রাজ্য এক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক’-এর কৌশল বাস্তবায়িত করা।
সোমবার কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে একাধিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে মেশানোর বার্তা দিয়েছে। এখন দেশে এর সংখ্যা ৪৩টি। এই দফায় কমিয়ে ২৮টি করার প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা দফতরের আরআরবি-র দায়িত্বে থাকা বিভাগ। প্রতিটি রাজ্যে একটি করে বড় আকারের আরআরবি চালানোই উদ্দেশ্য। যাতে পরিষেবার পরোক্ষ খরচ কমিয়ে আয় এবং মুনাফা বাড়ানো সম্ভব হয়। সেগুলিকে চাঙ্গা করা যায় আর্থিক ভাবে। দক্ষ হয় পরিচালন ব্যবস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই সংযুক্তির উদ্যোগ। এতে একটির আওতায় আসবে অনেক বেশি অঞ্চল। গ্রাহক বাড়বে। অথচ খরচ কমবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। বাড়বে মূলধন। সব মিলিয়ে আরও দক্ষ ভাবে আমজনতাকে পরিষেবা দিতে পারবে তারা। গ্রামাঞ্চলে আর্থিক এবং কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নের ভারপ্রাপ্ত নাবার্ড, স্পনসর ব্যাঙ্ক এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। স্পনসর ব্যাঙ্ককে মত জানাতে হবে ২০ নভেম্বরের মধ্যে।
আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির প্রতিটি এক একটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে ষুক্ত। বড় ব্যাঙ্কটিই স্পনসর ব্যাঙ্ক। এ রাজ্যে তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রয়েছে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্কের পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, সংযুক্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্কটি থাকবে পিএনবি-র আওতায়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র ২০০৪-০৫ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে আরআরবির সংখ্যা কমাচ্ছে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে তিন দফায় তা ১৯৬ থেকে কমিয়ে ৪৩ করা হয়। সরকারের যুক্তি, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্প্রসারণই এর লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy