কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ২০১৬ সালের পয়লা মে। তার পরে পেরিয়ে গিয়েছে দু’বছর। অথচ এখনও রাজ্যে চালু হয়নি আবাসন আইন (রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অ্যাক্ট)। জারি হয়নি বিজ্ঞপ্তি। তৈরি হয়নি কোনও ওয়েবসাইটও।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ রাজ্যসভার অনুমোদন পায় ‘রিয়েল এস্টেট বিল’। যার লক্ষ্যই হল ফ্ল্যাট, বাড়ির ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করা। ওই বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যগুলির এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। পরে সেই সময়সীমা বেড়ে দাঁড়ায় ২০১৭ সালের পয়লা মে। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমারও এক বছর পরে মাত্র তিনটি রাজ্যে ‘রেগুলেটরি অথরিটি’ বা নিয়ন্ত্রক রয়েছে। বাকি কোনও রাজ্যেই আইন কার্যকর হয়নি। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
আইনের ইতিবাচক দিক মানছে রাজ্যও। কিন্তু এখনও কেন তা কার্যকর হয়নি, তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের পরে বিজ্ঞপ্তি জারির কথা রয়েছে।
এক ঝলকে আবাসন বিধি
• ক্রেতার সায় ছাড়া ফ্ল্যাট বা বাড়ির অনুমোদিত নকশায় বদল নয়
• ফ্ল্যাটের দাম ঠিক করতে কার্পেট এরিয়াই বিবেচ্য ধরা হবে
• ক্রেতাকে চাবি দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে কাঠামোগত গলদ ধরা পড়লে, নিখরচায় ঠিক করে দিতে হবে প্রোমোটারকে
• এই ভুল নজরে আনার ৩০ দিনের মধ্যে ঠিক করতে হবে। না হলে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ
• সব নতুন প্রকল্পকে নথিভুক্ত হতে হবে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির কাছে। নইলে জরিমানা
তবে এই আইন দু’বছর পরেও চালু না হওয়ার জন্য প্রশাসনিক গড়িমসিকেই দায়ী করছে নির্মাণ শিল্পমহল। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের দাবি, যেখানে আইন চালু হয়েছে, সেখানে ফ্ল্যাট, বাড়ির বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ স্যমন্তক দাসের দাবি, নেতিয়ে পড়া বাজারেও এই আইনের হাত ধরে মাথা তুলেছে মধ্যবিত্ত আবাসনের বিক্রি। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে উদাহরণ। ঠকে যাওয়ার ভয় হঠাতে সেখানে এই আইন কাজে লেগেছে।’’ যে সুবিধা এ রাজ্যের ক্রেতারা এখনও পাননি।
ক্রেতাদের স্বার্থে ওয়েবসাইট থাকা জরুরি বলে মনে করে আবাসন বিপণন ও পরামর্শদাতা সংস্থা ম্যাজিক ব্রিকস। তাদের সমীক্ষা বলছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে যা নেই। মুখপাত্র ই জয়শ্রী কুরুপের দাবি, ৭৪ শতাংশই জানেন না এই ধরনের সাইটে প্রকল্প যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নতুন আবাসন আইনে নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ক্রেতার সায় ছাড়া নকশা না-বদলানো নিয়ে কড়াকড়ি, দাম হিসেবের ক্ষেত্রে কার্পেট এরিয়াকে মাপকাঠি ধরা ইত্যাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy