ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত।
আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র’র এক শীর্ষকর্তা রবীন্দ্র পি মরাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩০০০ কোটি টাকার ভুয়ো ঋণ মামলায় ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর মরাঠেকে বুধবার পুণে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মরাঠে ছাড়া ওই একই মামলায় পুলিশের জালে পড়েছেন আরও পাঁচ জন আধিকারিক। একটি পুরনো মামলার তদন্তে নেমে ওই আধিকারিকদের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে আর্থিক অপরাধদমন শাখার (ই ও ডব্লিউ)। ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজেন্দ্র কে গুপ্ত ছাড়াও আমদাবাদ থেকে জোনাল ম্যানেজার নিত্যানন্দ দেশপাণ্ডে এবং জয়পুর থেকে প্রাক্তন সিএমডি সুশীল মুহনতকে ধরা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিক ছাড়াও ওই একই অভিযোগে ডি এস কুলকার্নি গোষ্ঠীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুনীল ঘাটপাড়ে এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব নেওয়সকরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ইতিমধ্যেই ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ছ’জনের বিরুদ্ধেই প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূললক ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
পেট্রল-ডিজেলেও লাগু হতে পারে জিএসটি! দাম কমবে কি?
আর্থিক অপরাধদমন শাখার দাবি, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেল কোম্পানিগুলিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে পাইয়ে দিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রে শীর্ষকর্তা মরাঠে। সেই সঙ্গে পুণের ডি এস কে গোষ্ঠীকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ৩০০০ কোটি টাকা ভুয়ো ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের আরও দাবি, এই প্রতারণায় সামিল ছিলেন অন্য আধিকারিকেরাও। ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তারা ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ই অন্য গোষ্ঠীর আধিকারিকদের সঙ্গে মিলে বিপুল পরিমাণ অর্থে ঋণ অনুমোদন করে ব্যাঙ্কের সম্পত্তি বিলিয়েছেন।
আরও পড়ুন
মার্কিন বাণিজ্যের রস নিংড়েই পুনর্জন্ম চিনের
চলচি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই মেগা গোষ্ঠীর মালিক ডি এস কুলকার্নি এবং তাঁর স্ত্রী হেমন্তীকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তাঁরা চার হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারীর ১,১৫০ কোটি টাকা প্রতারণা করা ছাড়াও ২,৯০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ তছরুপ করেছেন। গত মাসে সেই মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবে ব্যাঙ্ক মালিকদের ১২০টিরও বেশি সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। সেই সঙ্গে সরকারের নির্দেশেই তাঁদের ২৭০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পাশাপাশি ৪৮টি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy