অমিতাভ কান্ত
জিএসটি তেমন আয় বাড়ায়নি। ফিরছে না অর্থনীতির অবস্থাও। এই পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণকেই কার্যত খড়কুটোর মতো আগলে ধরছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যা বুধবার ফের স্পষ্ট নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের কথায়। যেখানে তিনি জানালেন বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে রুগ্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির নতুন তালিকা তৈরি করছেন তাঁরা। আগামী দিনে প্রকাশ হবে আরও দু’টি।
আগামী অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ খাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। এ দিন কান্ত বলেন, ‘‘আয়োগ ইতিমধ্যেই ৪০টি রুগ্ণ সংস্থা বিলগ্নিকরণের সুপারিশ করেছে। লগ্নি ও জনসম্পদ পরিচালনা দফতর সেই কাজই করছে।’’ তাঁর দাবি, এর আগে রুগ্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চারটি তালিকা পাঠানো হয়েছে, যেগুলিতে সরকারের হাতে থাকা অংশীদারি বেচা যেতে পারে। কাজ চলছে পঞ্চমটি নিয়ে। শীঘ্রই আরও কিছু সংস্থাকে নিয়ে ষষ্ঠ এবং সপ্তম তালিকাটিও তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। বস্তুত, নীতি আয়োগকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখতে বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তারপরেই ৪০টি এ রকম সংস্থার সুপারিশ করে তারা।
চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য ৭২,৫০০ কোটি। এবং এ বারই প্রথম পূরণ হতে চলেছে এই বাবদ সরকারের রাজকোষ ভরার লক্ষ্যমাত্রা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, আদতে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে মোদী সরকার। যে কারণে, ওএনজিসির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এইচপিসিএলের মতো অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারের পুরো শেয়ার কিনছে ৩৬,৯১৫ কোটি টাকায়। যাতে শুধুমাত্র বাজেটে নেওয়া বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য পূরণ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy