সব কিছু ঠিকঠাক চললে অদূর ভবিষ্যতে খুলতে চলেছে এক সংস্থার মোবাইল-ওয়ালেট থেকে অন্য সংস্থার মোবাইল-ওয়ালেটে টাকা পাঠানোর রাস্তা। এ ব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই এই ধরনের সংস্থাগুলির উপর কিছু শর্ত আরোপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি জানতে চেয়েছে সব পক্ষের মতামতও।
দেশ জুড়ে নগদহীন লেনদেন বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। ফলে পেটিএম, মোবিকুইক, ফ্রিচার্জ, অক্সিজেনের মতো ওয়ালেট সংস্থাগুলি ঝাঁপিয়েছে সেই বাজার ধরতে। কিন্তু আমজনতার একাংশের অভিযোগ, সংস্থাগুলির প্রতিযোগিতার মাঝে পড়ে তাঁদের দুর্ভোগ কম হচ্ছে না। কারণ সকলের কাছে সব সংস্থার ওয়ালেট থাকে না। আবার প্যান্টালুন্স, বিগ বাজার, শপার্স স্টপের মতো বড় বিপণিতে অধিকাংশ চালু ওয়ালেট ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, পাড়ার ছোটখাটো দোকানে একটি বা দু’টির বেশি নেই। আর সেই কারণেই এক সংস্থার ওয়ালেট থেকে আর এক সংস্থার ওয়ালেটে টাকা লেনদেনের সুবিধা জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন ওয়ালেটগুলি জোট বাঁধে বিক্রেতা বা সংস্থার সঙ্গে। গ্রাহকেরা সেই সংস্থা বা বিক্রেতার থেকে কিছু কেনার পরে বাস্তবে মোবাইল-ওয়ালেট সংস্থাকেই দাম দেন। ওয়ালেট সংস্থা পরে তাঁর হয়ে বিক্রেতাকে টাকাটা মিটিয়ে দেয়। শিল্পমহল ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, দু’টি ভিন্ন ওয়ালেট সংস্থার মধ্যে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্যত সমস্যা নেই। কিন্তু ওয়ালেট সংস্থাগুলির দাবি, আরবিআইয়ের ছাড়পত্র না থাকায় সেটা করা যায় না।
আরবিআইয়ের যদিও যুক্তি, বিক্রেতা তাঁর ওয়ালেট সংস্থাকে চেনে ও ভরসা করে। কিন্তু ক্রেতার ওয়ালেট ভিন্ন হলে সেই বিশ্বাসটা আগে গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি সুরক্ষার প্রশ্নও এতে যুক্ত। তাই দু’টি সংস্থার মধ্যে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার আগে কিছু শর্ত কড়া করতে চায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যেমন, সংস্থার নিট সম্পদ অন্তত ২৫ কোটি টাকা হতে হবে। এখন যা ১ কোটি টাকা। পাশাপাশি গ্রাহকদের পুরো ‘কেওয়াইসি’ করাতে হবে। তৈরি করতে হবে সুরক্ষার বাড়তি রক্ষাকবচও। যাতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত ভাবে শক্তিশালী সংস্থা এই ব্যবসায় পা রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy