দেশের অর্থনীতির পক্ষে জোড়া সুখবর এল মঙ্গলবার। সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, এক দিকে, গত মে মাসে পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৪%, যা ছ’মাসে সব থেকে বেশি। অন্য দিকে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাসে (এপ্রিল-মে) রাজকোষ ঘাটতি থিতু হয়েছে ২.০৮ লক্ষ কোটি টাকায়। যা বাজেটে দেওয়া হিসাবের ৩৭.৫%। গত বছর এই সময়ে তা ছিল ৪৫.৩%।
এর আগে গত নভেম্বরে পরিকাঠামো ৬.৭% বৃদ্ধি দেখেছিল। তার পর থেকেই ক্রমাগত তা কমার মুখ নেয়। মার্চে এসে এই শিল্পে উৎপাদন সরাসরি কমে যায় ০.১%। এপ্রিলেও কমেছে ০.৪%। ফলে মে-র পরিসংখ্যানে এ বার ফের আশায় বুক বাঁধছে দেশের শিল্পমহল।
প্রসঙ্গত, পরিকাঠামোর আওতায় রয়েছে দেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র— কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট ও বিদ্যুত্। সার্বিক শিল্পোত্পাদন বৃদ্ধির হিসাবে এই শিল্পের গুরুত্ব ৩৮%। যে-কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের ঋণনীতি স্থির করার সময়ে এই ক্ষেত্রের বৃদ্ধির হারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এক বছর আগের মে মাসে পরিকাঠামোর আওতায় থাকা শিল্পগুলির উৎপাদন বেড়েছিল ৩.৮%।
এ দিনের পরিসংখ্যানে প্রকাশ, মে মাসে মূলত কয়লা এবং তেল শোধনাগারের উৎপাদন বাড়ায় ভাল ফল করেছে পরিকাঠামো শিল্প। ক্ষেত্র দু’টি বেড়েছে যথাক্রমে ৭.৮% এবং ৭.৯% হারে। উৎপাদন বেড়েছে বিদ্যুৎ (৫.৫%), অশোধিত তেল (০.৮%), সার (১.৩%), ইস্পাত (২.৬%) ও সিমেন্টেও (২.৬%)। তবে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন কমে গিয়েছে ৩.১%।
এ দিকে, গত বছরের তুলনায় এপ্রিল-মে মাসে রাজকোষ ঘাটতি কমেছে অনেকটাই। ফলে এই পরিসংখ্যানও অর্থনীতিকে এ দিন আশার আলো দেখিয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৩.৯ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy