Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

আসতে পারে নতুন বিজ্ঞপ্তি

বুধবার ব্যাঙ্কের ঋণ যথা সময়ে শোধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নতুন কিছু নির্দেশ জারি করতে হবে বলে মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অমিতাভ কান্ত।

আইন বিশেষজ্ঞ অনেকের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ধার শোধ করার মনোভাবে কিছুটা বদল এসেছিল।

আইন বিশেষজ্ঞ অনেকের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ধার শোধ করার মনোভাবে কিছুটা বদল এসেছিল।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২০
Share: Save:

ঋণ খেলাপি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি জারি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হতেই অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা মেটা নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ব্যাঙ্কের ঋণ যথা সময়ে শোধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নতুন কিছু নির্দেশ জারি করতে হবে বলে মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অমিতাভ কান্ত।

এ দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়কে হাতিয়ার করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই দিনই তোপ দেগেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকারের ভুল নীতিই বহু সংস্থাকে দেউলিয়া হওয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষ করে ইস্পাত, বিদ্যুৎ ও কয়লা শিল্পের মেরুদণ্ডই ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারেও মোদী সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে একই দাওয়াই সকলের জন্য প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, ২,০০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ খেলাপিদের সকলের বিরুদ্ধেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেউলিয়া আইনে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) মামলা করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। ওই বিজ্ঞপ্তিকেই অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে বাতিল করে। তার পরেই ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইন প্রয়োগের বিষয়টি দুর্বল হয়ে পড়ল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আইন বিশেষজ্ঞ অনেকের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই বিজ্ঞপ্তি জারির পরে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ধার শোধ করার মনোভাবে কিছুটা বদল এসেছিল। তাঁদের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের জন্য তৈরি পরিকল্পনা ধাক্কা খেতে পারে। কেন্দ্র ব্যবস্থা না নিলে দেউলিয়া আইনের হাত ধরে অনাদায়ি ঋণ উদ্ধারের প্রক্রিয়াটিই অকেজো হয়ে যেতে পারে।

তবে একাংশের ধারণা, ঋণ বাকি ফেলার প্রতিটি ঘটনাকে আলাদা আলাদা ভাবে বিচার করে দেউলিয়া আইন প্রয়োগের ব্যাপারে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি।

অন্য বিষয়গুলি:

Amitabh Kant RBI আরবিআই
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE