অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স।
ভারতে ঘৃণাভাষণ উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করল আমেরিকা। বুধবার আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট (রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট) প্রকাশ করেন। রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি গোটা বিশ্বে এখনও বহু মানুষের কাছে স্বীকৃত হয়নি। একই সঙ্গে তিনি জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত।
ব্লিঙ্কেনের কথায় উঠে আসে ভারতের কথাও। তিনি বলেন, “আমরা দেখছি ঘৃণাভাষণ, ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন, সংখ্যালঘুদের বাড়ি এবং উপাসনাস্থল ভাঙার ঘটনা ভারতে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বের মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করছেন।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বিষয়গুলি নিয়ে আমেরিকার শীর্ষ আধিকারিকেরা ধারাবাহিক ভাবে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রায় সব দলের বেশ কয়েক জন নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজস্থানের একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বিভাজনে উস্কানি দিচ্ছেন। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কংগ্রেসকেই আক্রমণ করে।
গত বছর আমেরিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্টেও ভারতের বহুত্ববাদ, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। ভারত অবশ্য ওই রিপোর্টকে ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত’ বলে খারিজ করে দেয়। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট তৈরি করছেন আমেরিকার কিছু আধিকারিক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থাকার দরুন এই নিয়ে বিতর্কের জল খুব বেশি দূর গড়াক, তা চায় না দু’পক্ষের কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy