E-Paper

বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে ওষুধ, ক্ষোভ

প্রসূতি ও শিশু ছাড়া অন্য রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের বাড়ির লোককে বাজার থেকে ওই সব ওষুধ, ইঞ্জেকশন ইত্যাদি কিনে এনে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

দিগন্ত মান্না

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩২
Share
Save

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডের পরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট-সহ ১৪ টি ওষুধকে নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এর প্রভাব পড়েছে জেলার সরকারি হাসপাতালে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একাংশ রোগীকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইঞ্জেকশন, স্যালাইন বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। তবে অন্তঃসত্ত্বা, প্রসূতি ও শিশুদের ওষুধ কিনতে হচ্ছে না। সেই ওষুধ স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে কিনে নিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলার স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, রাজ্যের কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট-সহ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার মোট ১৪টি ওষুধ আর ব্যবহার করা যাবে না। হাসপাতালে মজুত থাকলেও সেগুলি সরিয়ে রাখতে হবে। সেই তালিকায় রয়েছে, ডেক্সট্রোস ইনজেকশন, লেভোফ্লোক্সাসিন ইনফিউশন, ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি, অফলোক্সাসিন, পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, প্যারাসিটামল ইনফিউশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন আইপি রিঙ্গার ল্যাকটেট সলিউশন আইরি ইঞ্জেকশন (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস), রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইঞ্জেকশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইঞ্জেকশ, সাধারণ স্যালাইন ইত্যাদি।

এর প্রভাব পড়েছে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার উপর। প্রসূতি ও শিশু ছাড়া অন্য রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের বাড়ির লোককে বাজার থেকে ওই সব ওষুধ, ইঞ্জেকশন ইত্যাদি কিনে এনে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ওষুধ, ইঞ্জেকশন এবং স্যালাইনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও তা মেলেনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর জরুরি বিভাগে প্যারাসিটামল ইনফিউশন-১০০০ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল এবং ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি ২০%-১০০ এমএল বোতল এই দু'টির চাহিদা বেশি। কিন্তু নতুন ইঞ্জেকশন, ওষুধ না আসায় রোগীদের এগুলি বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, স্থানীয় ভাবে দরপত্র ডেকে ওষুধ কেনার জন্য অন্তত কিছুটা সময় দরকার। দরকার টাকারও। কারণ ‘নন ক্যাট’ অর্থাৎ সরকারি তালিকার বাইরের সংস্থার সামগ্রী হিসাবে এগুলি কিনতে হবে। কোন সংস্থা কম দামে উপযুক্ত মানের ওষুধ দেবে, সেটাও দেখতে হবে। সব মিলিয়ে একটু সময় লেগে যাচ্ছে।

হাসপাতালের সুপার কৌশিক ঢল বলেন, ‘‘মা এবং শিশুদের জন্য আমরা বাজার থেকে ওষুধ কিনে পরিষেবা দিচ্ছি। বাকিদের ক্ষেত্রে সমস্যা। রোগীরদের দু'একটি ওষুধ ও ইঞ্জেকশন বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। জেলার কাছে নতুন ওষুধের জন্য আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে পরস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panskura

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।