(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় দিবসের ভাষণে জানিয়েছিলেন চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের গোড়ায় বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি সরাসরি এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা মনে করি চলতি বছরের জুলাই-অগস্টের মধ্যেই জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব।’’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ। বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। তাঁর ছেলে তথা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক দীর্ঘ দিনই বিদেশে। এই পরিস্থিতিতে মহাসচিব ফখরুলের হাতেই এখন কার্যত বিএনপি পরিচালনার দায়িত্ব। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ইউনূস সরকারের সঙ্গে বিএনপির সখ্য ছিল। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়ে ক্রমেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন ফখরুলরা। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনের সার্বিক সংস্কার কর্মসূচির নাম করে ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারে শামিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে খালেদার দল।
সোমবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ মঞ্চ স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছিল। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল সভাপতিত্ব করেন ওই বৈঠকে। তার পরেই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে বিএনপি। ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, যে হেতু নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গিয়েছে, তাই গভর্ন্যান্সের (অন্তর্বর্তী সরকার) মোটামুটি একটা স্টেবিলিটি (স্থিতিশীলতা) এসেছে। বুধবার সংস্কার-সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদন এসে যাবে। সুতরাং মনে হয় না, নির্বাচন আরও বিলম্বিত করার কোনও কারণ আছে। যত বিলম্ব হচ্ছে, ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy