পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক রয়েছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণমের বিষয়ে বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিংহ চৌধরির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের সংসদীয় এলাকা শ্রীরামপুরের মধ্যেই পড়ে রিষড়া।
কল্যাণের দাবি, বিএসএফের ডিজি তাঁকে জানিয়েছেন, দেশের সব নিরাপত্তা সংস্থা পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের তরফে সময় চাওয়া হয়েছে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যা যা করার তা-ই করা হচ্ছে। কল্যাণের এ-ও দাবি, বিএসএফের ডিজি তাঁকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক থাকা পূর্ণম শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন। নিরাপদ জায়গাতেই তাঁকে রাখা হয়েছে।
পঞ্জাবে কর্মরত ছিলেন বিএসএফের কনস্টেবল পূর্ণম। গত বুধবার তিনি খামার পাহারা দিচ্ছিলেন। খানিকটা ভুলবশতই পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করেন বিএসএফের ১৮২ নং ব্যাটেলিয়নের এই কনস্টেবল। সেই সময়েই তাঁকে আটক করে পাক ফৌজ। তার পর দুই দেশের সেনা পর্যায়ে পতাকা বৈঠক (ফ্ল্যাগ মিটিং) হয়েছে। কিন্তু পহেলগাঁও পরবর্তী পরিস্থিতির কারণেই শনিবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ণমকে মুক্তি দেয়নি পাকিস্তান রেঞ্জার্স।
এই অবস্থায় নাওয়া-খাওয়া ছুটেছে পরিবারের। রিষড়া হরিসভার পাশেই পূর্ণমদের বাড়ি ‘সাউ ভবন’। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং আট বছরের পুত্রসন্তান। বিএসএফের ডিজি তৃণমূল সাংসদকে যা জানিয়েছেন, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জওয়ানের পরিবারের কাছে। শনিবার বিকালে কল্যাণ নিজেও ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি জওয়ানদের ভারতের সীমায় প্রবেশ করা বা ভারতের জওয়ানদের পাক সীমান্ত অতিক্রম করা নতুন ঘটনা নয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পতাকা বৈঠকের পরেই সাধারণত বরফ গলে যায়। কিন্তু পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরে পরিস্থিতি যখন তপ্ত তখন পাকিস্তানও পূর্ণমকে আটক রেখে স্নায়ুর চাপ তৈরি করতে চাইছে। বিএসএফ-ও কৌশলে পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।