উদ্ধব ঠাকরে-শরদ পওয়ার। —ফাইল ছবি।
জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অস্তিত্ব নিয়ে তৈরি হওয়া ধন্দের মধ্যেই এ বার মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ী (এমভিএ) জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হল। ইন্ডিয়া-র অন্যতম শরিক উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি)-র পরে এ বার এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারও ‘বার্তা’ দিলেন, বৃহন্মুম্বই পুরসভা-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে একক শক্তিতে লড়বে তাঁর দল।
পাশাপাশি, দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে সমর্থনের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। শরদ মঙ্গলবার মুম্বইয়ে বলেন, ‘‘জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে লড়ার জন্য ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হয়েছিল। পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে এই জোটের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এমভিএর অন্দরেও কোনও আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন শরদ। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই উদ্ধবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, দেশের বৃহত্তম পুরসভা বৃহন্মুম্বইয়ে একক শক্তিতে লড়বে তাঁর দল।
গত বছর লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র তিন সহযোগী কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ) এবং উদ্ধবসেনা জোট বেঁধে লড়েছিল। গত তিন বছর ধরে মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পুরভোটেও স্থানীয় স্তরে জোট করেছে তিন দল। তা হলে, মুম্বই পুরভোটে কেন ‘একলা চলো’ সিদ্ধান্ত? সঞ্জয়ের যুক্তি ছিল, ‘‘একটি জোটে আসন সমঝোতা করে লড়লে দলের কর্মীরা সুযোগ পান না। দলের সাংগঠনিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’’ শরদ অবশ্য সরাসরি কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা না করে বলেছেন, ‘‘আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে বৈঠক করে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’
দিল্লির বিধানসভা ভোট সম্পর্কে মঙ্গলবার শরদ বলেন, ‘‘আমাদের ভাবাবেগ বলছে দিল্লিতে কেজরীকে সমর্থন করা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে। চলতি বছর বিহারের বিধানসভা ভোটে যে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে উৎসাহী নন, এই মন্তব্যে তারই বার্তা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লির বিধানসভা ভোটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ইতিমধ্যেই কেজরীকে সমর্থন করেছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পর এ বার শরদও আপের প্রতি সমর্থন জানানোয় ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy