(বাঁ দিক থেকে) মুহাম্মদ ইউনূস, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। কিন্তু তাঁর সরকারের আইনি উপদেষ্টার আসিফ নজরুলের মন্তব্য প্রতিশ্রুতি পালনের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। আগামী বছরেও নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত আসিফ!
আসিফ বৃহস্পতিবার রাতে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কবে জাতীয় সংসদের ভোট হতে পারে তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে। অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাথমিক অনুমান।’’ তাঁর ব্যাখ্যা— নির্বাচনের জন্য অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি প্রয়োজন। প্রয়োজন ভোটার তালিকা সংশোধন করা। চলতি বছরের গোড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আয়োজিত নির্বাচনে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে যে অশান্তি হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
আসিফের এই যুক্তি বিএনপি বা জামাতের দল মেনে নেবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। তার জন্য নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটাই ইউনূস সরকার করুক। সংস্কারের কাজে ইউনূস সরকারের এক্তিয়ার ও বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “সংস্কার করার মূল দায়িত্ব কিন্তু হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। আপনাকে যদি প্রশ্ন করি যে হু আর ইউ— এই সব সংস্কার করছেন, সংবিধান সংস্কার করছেন। আপনি কে? আপনার স্টেটাসটা কী? একটা আন্দোলন করে ছেলেরা আপনাকে বসিয়ে দিয়েছে আর আপনি সব দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন, আমি সেটা মনে করি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy