Advertisement
১৮ অক্টোবর ২০২৪
BRICS Summit

ব্রিকস শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়া যাচ্ছেন মোদী, সাড়ে তিন মাসে দ্বিতীয় বার পুতিনের মুখোমুখি

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে তাদের হাতে।

ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা।

ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩১
Share: Save:

ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর কাজ়ান শহরে ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হবে।

বাণিজ্য এবং উন্নয়নের পাশাপাশি ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিও ব্রিকসে এ বার আলোচনায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চার মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাশিয়া সফর যাচ্ছেন মোদী। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি গিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে। এ বারও ব্রিকেসের পাশ্ববৈঠকে মোদী-পুতিন আলোচনা হতে পারে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে তাদের হাতে। অর্থাৎ, পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা। ব্রিকসভুক্ত অধিকাংশ দেশই পশ্চিম-বিরোধী জোটশক্তির অংশ বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। চিন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রাষ্ট্রপুঞ্জে গাজ়া পরিস্থিতি নিয়ে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।

গত নভেম্বরে গাজ়া পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিকসের ভার্চুয়াল শীর্ষবৈঠকে যোগ দেননি মোদী। পরিবর্তে সেখানে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার আগে গত বছরের অগস্টে চিনের প্রস্তাব মেনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে ওই গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য ছ’টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এশিয়ায় ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব, আফ্রিকার মিশর এবং ইথিওপিয়ার পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনাও। এই আবহে রাশিয়ার মাটিতে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর যোগদান ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE