গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের ‘পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা’ ফেরাতে সক্রিয় হলেন ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির নবনির্বাচিত সরকারের প্রথম বৈঠকেই এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবটি তুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট মোদী সরকার ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ— দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। তারই মধ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’’
কিন্তু সেই ‘সঠিক সময়’ এখনও জানায়নি মোদী সরকার। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরে রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। পাশাপাশি, ৩০ সেপ্টেম্বরর মধ্যে বিধানসভা ভোটের আয়োজন করার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর সময়সীমা জানানোরও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের তরফে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো না হলেও জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে তৎপরতা শুরু করল কংগ্রেস সমর্থিত ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy