ঘরে-বাইরে রোজই বিপদে পড়েন অনেক মহিলা। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, মোবাইলে লিখে সে-কথা রাজ্য মহিলা কমিশনকে জানানোর উপায়ও থাকে না। কিছু না-লিখেই এ বার শুধু আঙুলের চাপে বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা করছে কমিশন। তৈরি হচ্ছে তাদের নিজস্ব ‘অ্যাপ’। তাতে কমিশনের কাছে বিপদবার্তা পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক সাহায্যের আবেদন জানানো যাবে।
ওই অ্যাপ তৈরির ভার দেওয়া হয়েছে বিধাননগরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে। সেই সংস্থা জানাচ্ছে, সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ৭-৮ মাসের মধ্যে চালু হবে অ্যাপ। সরলতর হবে কমিশনে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি। নির্মাতা সংস্থার কর্তা গৌরব বর্মণ জানান, বিপদে পড়লে অনেক সময় মোবাইলে বার্তা লিখে পাঠানো সম্ভব হয় না। মহিলা কমিশনের অ্যাপে বিপদবার্তা পাঠাতে মোবাইলে কিছু লেখার দরকার হবে না। শুধু অ্যাপের নির্দিষ্ট জায়গায় আঙুলের চাপ দিলেই বার্তা চলে যাবে কমিশনের দফতরে। সেই বার্তায় সাহায্যপ্রার্থীর নাম, তাঁর মোবাইল নম্বর এবং তিনি কোথায় রয়েছেন— সবই জানা যাবে।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রতিষ্ঠানকে আরও কার্যকর করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ডাইনি প্রথা, সাইবার অপরাধের মতো কিছু বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র তৈরি করছে কমিশন। তাতে অভিনয় করেছেন টেলিভিশন দুনিয়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাঁদের পারিশ্রমিক-সহ তথ্যচিত্র তৈরির কাজে টাকা খরচ করেছে কমিশন। অ্যাপ তৈরি এবং ‘ডিজিটাইজেশন’-এর কাজের জন্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হবে।
‘‘অ্যাপের মাধ্যমে নির্যাতিতাদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি আমরা। এই ব্যবস্থায় মহিলারা কমিশনে অভিযোগও পাঠাতে পারবেন। তার নিষ্পত্তিতে কমিশন কী করেছে, অ্যাপের মাধ্যমে তা-ও জানতে পারবেন মহিলারা,’’ বলেন লীনাদেবী।
কমিশন-প্রধানের বক্তব্য, অনেক সময়েই দূরবর্তী জেলার মহিলারা কমিশনের দফতরে আসতে পারেন না। অ্যাপ চালু হলে তাঁদেরও সুবিধা হবে। কমিশনের অন্য এক সদস্যা জানান, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা সফরে কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে বিষয়টি ওঠে। অ্যাপ চালু হলে মহিলারা বাড়িতে থেকেই সরাসরি এবং দ্রুত কমিশনের কাছে অভিযোগ পাঠাতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy