বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। সিবিআই রিপোর্ট দেওয়ার পর বুধবার বিকেলে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এসএসসি জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এমন ১৮৩ জন শিক্ষকের নাম তারা খুঁজে পেয়েছে। এর পরেই বুধবার দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু এর পর অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানির সময় সিবিআই জানায়, সংখ্যাটা আরও বেশি। ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। এর পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার মামলাগুলির বিস্তারিত শুনানি হবে, সেই শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বুধবার বলেন, ‘‘এই মামলায় সিবিআই আগে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, নবম-দশমে জনকে নিয়ম ভেঙে ৯৫২ জনের নামে ওএমআর শিটে (পরীক্ষার খাতা) তারা গরমিল খুঁজে পেয়েছে। এসএসসি ১৮৩ জনের নামে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছে। মহামান্য বিচারপতি বৃহস্পতিবার ফের মামলাটির শুনানি করবেন।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০১৬-য় নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার নাম। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলায় আদালতকে এসএসসি আগে জানিয়েছে, তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাঁদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও নিয়ম ভেঙে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে।