জয়পুরে গহলৌত ও পাইলটকে পাশাপাশি দাঁড় করাল কংগ্রেস হাইকমান্ড। ছবি সংগৃহীত।
রাজস্থানের দুই যুযুধান নেতা অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলট দু’জনেই ‘কংগ্রেসের সম্পদ’ বলে সোমবার বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জয়পুরে গহলৌত ও পাইলটকে পাশাপাশি দাঁড় করাল কংগ্রেস হাইকমান্ড।
এক দিকে, গহলৌতকে সরিয়ে পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে জল্পনা। অন্য দিকে, পাইলটকে ‘গদ্দার’(বিশ্বাসঘাতক) বলে গহলৌতের নিশানার পরে কংগ্রেসের সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল আজ জয়পুরে পৌঁছন। আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশ পেরিয়ে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থানে ঢুকবে। তার আগে দলের দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দেওয়া প্রয়োজন ছিল। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘গহলৌত ও পাইলট বলেছেন, রাজস্থানে কংগ্রেস এককাট্টা। রাহুল গান্ধী বলে দিয়েছেন, দু’জনেই দলের সম্পদ।’’ গহলৌত এবং পাইলটের মুখেও ঐক্যের বার্তা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের বক্তব্য, ‘‘রাহুল গান্ধী বলে দিয়েছেন। এর পরে নিচুতলা পর্যন্ত সকলে মিলে একসঙ্গে দলের স্বার্থে কাজ করবেন।’’ আর পাইলটের কথায়, ‘‘রাহুল গান্ধীর যাত্রায় সকলে যোগ দেবেন। আমরা সবাই আলোচনা করেছি। রাহুল গান্ধীর ভারত যাত্রা, দলের স্বার্থই সব কিছুর উপরে।’’
বিবদমান দুই নেতা মুখে যা-ই বলুন, বরফ যে গলেনি, তাঁদের শরীরের ভাষায় তা স্পষ্ট ছিল। বিষয়টি বুঝে বেণুগোপাল দু’হাতে দুই নেতার হাত তুলে ধরে ছবি তোলেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গুজরাতের ভোট ও ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থানে থাকা পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে। মোটামুটি ভাবে গহলৌতের বদলে পাইলটের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। কিন্তু কবে তা হবে, পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না কি শুধুই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy