(বাঁ দিক থেকে) কুণাল ঘোষ, অর্ণব দাম, গৌতম চন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের পিএইচডিতে ভর্তি হওয়া নিয়ে ‘জটিলতা’ কাটার আভাস শুক্রবারেই ছিল। শনিবার তা আরও খানিকটা স্পষ্ট হল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্রের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে কুণাল খোলসা করেননি। তবে তিনি যে গৌতমকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করেছেন। উপাচার্য গৌতমও কুণালের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলব না।’’ আনন্দবাজার অনলাইনকে গৌতম বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই আমি একটি সাংবাদিক বৈঠক করব। সেখানেই সবটা বলব।’’ সূত্রের খবর, কুণালকে গৌতম আশ্বস্ত করেছেন, সোমবারই অর্ণবের পিএইচডিতে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পন্ন যাতে হয়ে যায়, তার জন্য তিনি পদক্ষেপ করবেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কুণাল বা গৌতম— কেউই সে কথা বলেননি।
সূত্রের খবর, কুণাল গৌতমকে বুঝিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অযথা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। এ-ও খবর, কুণাল বলেছেন, অর্ণব বিচারাধীন বন্দি নন। তিনি সাজাপ্রাপ্ত। সেই সংক্রান্ত আইনের বিষয়টি উপাচার্যকে বলেছেন শাসকদলের নেতা। কুণালের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি উপাচার্যকে বলেছেন, ‘‘স্যর, আমি আপনাকে তৃণমূল নেতা হিসাবে ফোন করিনি। ফোন করেছি প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে।’’ ওই কথা বলেই সাজাপ্রাপ্ত জেলবন্দিদের আইনের বিষয়টি উল্লেখ করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ।
জেলবন্দি মাওবাদী অর্ণবের গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর দফতরের কোনও সমস্যা নেই বলে শুক্রবারই জানিয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, অর্ণবের বিষয়ে দু’টি প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারা দফতরকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তার জবাব আগামী সোমবারই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
গত বুধবার অর্ণবের বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নামেন কুণাল। তিনি প্রথমে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কারামন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে। কুণালই অভিযোগ করেছিলেন, উপাচার্য জট পাকাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কুণাল এক্স (সাবেক টুইটারে) হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন, পড়াশোনার সুবিধার জন্য হুগলি জেল থেকে অর্ণবকে বর্ধমান জেলে পাঠানো হতে পারে। এ প্রসঙ্গে অখিল জানিয়েছেন, কোন জেলে অর্ণব থাকবেন, তা দেখে নেওয়া হবে। বর্ধমান জেলেই সুবিধা বেশি হবে সম্ভবত। বৃহস্পতিবার হুগলি জেল সূত্রে জানা গিয়েছিল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চিঠি রাজ্য কারা দফতরে পাঠানো হয়েছে। কারামন্ত্রী অখিল শুক্রবার জানান, সেই চিঠির জবাব সোমবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘চিঠি দিয়েছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy