তৃণমূলের ফাঁস করা ভিডিয়োয় দেখা বিজেপি নেতা। ছবি: তৃণমূলের পোস্ট করা ভিডিয়ো থেকে।
মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে তৃণমূলের প্রকাশ করা দু’টি ‘গোপন ভিডিয়ো’ (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)-র সূত্র ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে তৃতীয় অভিযুক্ত বিপ্লব মালকেও আটক করল পুলিশ। সূত্রের খবর, তিনি চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।
এই ঘটনায় সোমবার সকালে অন্য দুই অভিযুক্ত, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌমেন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করেছিল পুলিশ। তৃণমূলের প্রকাশ্যে আনা ভিডিয়োয় তাঁদের দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বাবলু ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত খড়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর। সৌমেনও বিজেপি নেতা বলে পুলিশের দাবি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, তিন জনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালেই তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছিল, আরজি কর-কাণ্ডকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানের নামে গুলি চালানো, এমনকি খুনেরও ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘একটা বড় চক্রান্ত চলছে কালকের মিছিল ঘিরে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই।’’ পরে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে দু’টি ‘গোপন ভিডিয়ো’ও প্রকাশ করেন কুণাল। তাতে একাধিক ব্যক্তির মুখে ঘুরেফিরে এসেছে ওই শব্দ। কেউ বলেছেন ‘বডি চাই’। কেউ বলেছেন, ‘‘বডি পড়বেই। রাবার বুলেট চলবে।’’ ভিডিয়োয় তাঁরা এ-ও দাবি করছেন যে, ২৭ তারিখের আন্দোলন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে না। তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ‘বডি’ অর্থাৎ লাশ বা মৃতদেহ না পেলে আন্দোলন জোরদার হয় না।
কুণাল জানিয়েছেন, বিভিন্ন সূত্র মারফত ভিডিয়োটি তাঁদের হাতে এসে পৌঁছেছে। প্রথম ভিডিয়োয় এক যুবককে দেখা গিয়েছে। তবে নেপথ্যে গলা শোনা যায় আরও দু’জনের। এক নেপথ্য কণ্ঠস্বর প্রশ্ন করে, ‘‘২৭ তারিখের যে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে বলছেন, তা কি আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে?’’ জবাবে পর্দায় থাকা যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘‘গুলি চলবে। এখানে রাবার বুলেট চলবে।’’ পরের ভিডিয়োটিতেও প্রায় প্রথম ভিডিয়োটিরই বক্তব্য ঘুরেফিরে এসেছে। সেখানেও এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘একটা-দুটো বডি যদি না পড়ে কিচ্ছু হবে না।’’
তৃণমূলের এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আন্দোলন গতি পাওয়ায় তৃণমূল হতাশায় ভুগছে, তাই এমন অদ্ভুত আচরণ।’’ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং পুলিশ এক হয়ে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা করছে। আরজি কর নিয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সকলেই দেখেছেন।’’ কিন্তু শাসকদলের প্রকাশ্যে আনা ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই আটক করা হল ঘাটালে বিজেপির তৃতীয় নেতাকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy