Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Haryana Assembly Election 2024

‘ছুটি কাটাবেন ভোটারেরা’, হরিয়ানায় তাই নির্বাচন পিছোনোর দাবি বিজেপির! কংগ্রেস বলল, ‘হারার ভয়’

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার গত ১৬ অগস্ট ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১ অক্টোবর এক দফাতেই হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা হবে আগামী ৪ অক্টোবর।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ১৬:১৯
Share: Save:

নির্বাচন কমিশন ১০ দিন আগে হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার, প্রার্থী বাছাইয়ের পালা। এরই মধ্যে সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলল। দলের রাজ্য সভাপতি মোহনলাল বদোলী নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে ভোট পিছোনোর দাবি তুলেছেন।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার গত ১৬ অগস্ট ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১ অক্টোবর এক দফাতেই হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা হবে আগামী ৪ অক্টোবর, জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গেই। ভোট ঘোষণার আগে রাজ্য সফরে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথাও বলেছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ কেন ভোট পিছোনোর দাবি? মোহনলাল জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর ভোট হলে রাজ্যের ভোটারদের বড় অংশই বুথমুখী হবেন না। তাঁরা ছ’দিনের ছুটি উপভোগে ব্যস্ত থাকবেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সোমবার বলেন, ‘‘২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর শনি-রবিবারের সপ্তাহান্তের ছুটি। ১ অক্টোবরের ভোটের দিনটিও ছুটির দিন। আবার ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী ‘জাতীয় ছুটি’ হিসাবে চিহ্নিত। পরে দিন, অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর অগ্রসেন জয়ন্তী। যা হরিয়ানায় ‘রাজ্য ছুটি’র দিন। বিজেপির দাবি, ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হলে ভোটারদের বড় অংশই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন না। কারণ, শুধু ৩০ সেপ্টেম্বর অফিস থেকে ছুটি নিলেই তাঁরা টানা ছ’দিন অবসর যাপনের সুযোগ পেয়ে যাবেন। বুথে না গিয়ে অনেকেই সপরিবার ভ্রমণে চলে যাবেন।’’ তা ছাড়া, ২ অক্টোবর ‘অসোজ অমাবস্যা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশনোই জনগোষ্ঠীর বড় অংশ হরিয়ানা ছেড়ে রাজস্থানে পাড়ি দেবেন বলেও দাবি করেন তিনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে লোকসভা ভোটে গ্রামীণ হরিয়ানায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নামলেও শহুরে চাকুরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের সমর্থন এখনও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দলের পাশে। আর টানা ছ’দিনের ছুটিতে বুথে অনুপস্থিত থাকার সম্ভাবনা তাদেরই সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে সঙ্কটে পড়তে পারে মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনির সরকার। এই পরিস্থিতিতে তাই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘জাঠ কৃষকদের দল’ হিসেবে পরিচিত আইএনএলডি-ও সোমবার ভোট পিছোনোর দাবি তুলেছে। যদিও ‘ইন্ডিয়া’র দুই দল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ) ভোট পিছোনোর বিরোধিতা করেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার পুত্র তথা রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র বলেন, ‘‘হারার ভয়েই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছে বিজেপি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy