প্রতীকী ছবি।
নতুন বেতনক্রমে এক জন স্নাতকোত্তর শিক্ষকের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রধান শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য এখন মাত্র ৫০০ টাকা।
মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে সেই পার্থক্যটাও নেই। প্রধান শিক্ষকদের দাবি, প্রধান শিক্ষকদের জন্য বেতনে যে অতিরিক্ত গ্রেড পে ছিল, সেই গ্রেড পে ফিরিয়ে আনা হোক। তাঁদের অভিযোগ, এখন প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহ-শিক্ষকদের বেতনের সামান্য পার্থক্য হওয়ায় অনেক প্রধান শিক্ষকই পড়ানোর পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য গুরুদায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন। এই বেতনক্রম চালু থাকলে ভবিষ্যতে আর কেউ প্রধান শিক্ষক হতেও চাইবেন না।
প্রধান শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০০৯ রোপার (বেতনক্রম নির্ধারণের নির্দিষ্ট নিয়ম) আগে পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের দু’টি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ছিল। ২০০৯ সালে ওই দুই ইনক্রিমেন্ট তুলে দিয়ে অতিরিক্ত গ্রেড পে চালু করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে এক জন সহ-শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হলে, তিনি সহ-শিক্ষক থাকা অবস্থায় যে বেতন পেতেন, তার অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্টও পেতেন।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, “২০১৯ সালের রোপার নতুন নিয়মে প্রধান শিক্ষকদের জন্য যে অতিরিক্ত গ্রেড পে ছিল সেটা বন্ধ করে দেওয়া হল। প্রধান শিক্ষকেরা যে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেতেন, ২ মে ২০২২-এ শিক্ষা দফতরের আদেশনামায় সেটাও তুলে দেওয়া হল। পরিবর্তে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা বিশেষ ভাতা চালু হল।”
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, “সারা দেশের প্রায় সব রাজ্যের সরকারি স্কুলে এবং সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের প্রধান শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতনক্রম চালু আছে। আমাদের রাজ্যে কেন প্রধান শিক্ষকেরা বঞ্চিত হবেন? এ নিয়ে বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি দেওয়া সত্ত্বেও কোনও ফল হয়নি। প্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত গ্রেড পে ফিরিয়ে আনা হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy