(বাঁ দিকে) স্কুলের বাইরে তৃণমূলের বৈঠক। (ডান দিকে) স্কুলের ভিতরের মাঠে কংগ্রেসের বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের মাঠে কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন চলছে। সেই বৈঠক শুরু হতে না হতেই অদূরে শুরু হল লাউড স্পিকারে গান। দেখা গেল, সেখানে মঞ্চ বেঁধে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার হুগলির দাদপুরের মহেশ্বরপুর স্কুলগেটের ভিতর এবং বাইরে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা চরমে। কংগ্রেসের দাবি, গত ডিসেম্বর মাসে তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে। তার পরে ৫ ডিসেম্বরের এই কর্মী সম্মেলন। কিন্তু সকাল থেকে দেখা যায়, তৃণমূলও সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তবে শাসকদলের দাবি, তারাও অনেক আগে থেকে পুলিশের অনুমতি নিয়েছে।
মহেশ্বরপুর স্কুল প্রাঙ্গণে চলছে কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন। তাতে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত। তার কয়েক মিটার দূরে স্কুলগেটের বাইরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। দুই দলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্কুল চত্বর। তৃণমূলের সভা শুরু হবে দুপুরে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থাকবেন হুগলি জেলা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী থেকে ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রেরা। সভার আগেই লাউড স্পিকারে গান বাজানো শুরু হয়। তাতে তাদের সম্মেলনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। একই জায়গায় দুই দলের সম্মেলন অবশ্য পুলিশের অনুমতি নিয়েই হচ্ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, কথা ছিল দুপুর দেড়টার পরে তাঁরা লাউড স্পিকার বন্ধ করে দেবেন। তখন তৃণমূল সভা শুরু করবে। কিন্তু সকাল থেকে হল ঠিক উল্টো। সে সব দেখে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, যে দল প্রশাসনে রয়েছে, তারা কিছু সুবিধা নেবে ঠিকই। কিন্তু এটা উচিত হল না। পাশাপাশি কর্মীদের প্ররোচনায় পা দিতে নিষেধ করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরা সভার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। আবেদন করার তিন দিন পরে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় ৫ জানুয়ারি সভা হলে প্রশাসনের আপত্তি নেই। তখন তৃণমূলের কোনও সভার কথা শুনিনি। সকাল থেকে দেখলাম মঞ্চ তৈরি হচ্ছে ওদের। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাতে কথা হয়েছে, ২টোর মধ্যে আমরা সভা শেষ করব। দেড়টার পরে ওরা (তৃণমূল) মাইক চালাবে। এখন দেখছি, অন্য ছবি।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কেউ। তবে কর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের সমাবেশের আয়োজন হঠাৎ করে হয়নি। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। অন্য দিকে, কংগ্রেস জানাচ্ছে, ওই এলাকা যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সে জন্য নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের তাঁরা সাবধান করে রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy